সংক্ষিপ্ত

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। অবৈধ শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

কলকাতা হাইকোর্টের কড়া নির্দেশের পর বৃহস্পতিবার বিকেলেই, ১৮৩ জন অযোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। অবশেষে প্রকাশ্যে এল 'অযোগ্য' শিক্ষকদের তালিকা। এই সমস্ত শিক্ষকদের চাকরি এবার প্রশ্নের মুখে। ১৮৩ জনের নাম প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। জানা গিয়েছে এই তালিকায় যে ১৮৩ জনের নাম রয়েছে, তাঁরা ভুল পথে চাকরির সুপারিশপত্র পেয়েছিলেন।

২০১৬ সালের এসএসসি নবম-দশমের ১৮৩ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয় এদিন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। অবৈধ শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অযোগ্য শিক্ষকদের নাম প্রকাশ করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এই নির্দেশ পাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি।

বিচারপতির নির্দেশ ছিল, ‘‘তিন দিনের মধ্যে কমিশনকে এই তথ্য জানাবেন জেলা স্কুল পরিদর্শকেরা।’’ আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে পরবর্তী রিপোর্ট পেশ করার জন্য এসএসসি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নবম-দশমে কতজন অবৈধ উপায়ে সুপারিশপত্র পেয়েছেন, বুধবার এই প্রশ্নের জবাবে ১৮৩ জনের কথা আদালতে জানিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। জানা গিয়েছে তেসরা ডিসেম্বর সএসসি কর্তৃপক্ষ, মামলাকারী এবং সিবিআই নিজেদের মধ্যে বৈঠক করবেন। গাজিয়াবাদ এবং এসএসসির দফতর থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া হার্ডডিস্ক থেকে ইতিমধ্যেই ওএমআর শিট (পরীক্ষার খাতা)-এর যে নমুনা দেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে সিবিআই।

তবে সিবিআইয়ের চূড়ান্ত রিপোর্টে সেই সংখ্যা হাজারের কাছে যেতে পারে। উল্লেখ্য, এসএসসির নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এবং নন-টিচিং স্টাফদের যোগ করলেন সংখ্যাটি যে কয়েকগুণ বেড়ে যাবে তা বলাই যায়। যদিও বৃহস্পতিবার শুনানির পরে ১৮৩ জনের নাম প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। এই মামলায় আবেদনকারীর পক্ষের দাবি, সিবিআই রিপোর্ট অনুযায়ী ভুয়ো সুপারিশ দেওয়া হয়েছে ৯৫২ জনকে। ফলে আপাতত ১৮৩ জন শিক্ষকের চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

এই তালিকায় যারা র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কেবল নাম নয়, অ্যাপ্লিকেশন আইডি, রোল নম্বর, কোন বিষয়ে পেয়েছেন, কোন ক্যাটেগরির সব তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। এও দেখা যাচ্ছে, সংরক্ষিত তালিকাতেই অযোগ্য প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি চাকরি পেয়েছেন। এমনকী, এই তালিকায় রয়েছেন এমন ৭৫-৮০ শতাংশ প্রার্থীরা বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে চাকরি করছেন। দেখা গিয়েছে প্রতিটি বিষয়েই সেই 'অযোগ্য প্রার্থীরা' চাকরি পেয়েছেন। কমিশনের প্রকাশিত তালিকা থেকে সেই তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের হিসেবে সংখ্যাটি ছিল ১৮৩। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ৯৫২ জনের হিসেব দিল। নবম-দশমে ভুয়ো সুপারিশপত্র পাওয়া অবৈধ শিক্ষকের সংখ্যায় গরমিল চলে এল প্রকাশ্যে।



আরও পড়ুন-
ব্যস্ততা সত্ত্বেও মানুষের জীবনের সঙ্গে আপোষ নয়, কনভয় থামিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সকে জায়গা দিতে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে শীতের পথে বাধা, স্বাভাবিকের চেয়ে ওপরেই রইল অধিকাংশ জেলার তাপমাত্রা
কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে তরুণীদের মৃত্যু হলেও তার জন্য সরকার দায়ী নয়: সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র