প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাইকটি এতটাই দ্রুতগতিতে আসছিল যে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। স্পোর্টস বাইক প্রথমে রাস্তার ব্যারিকেডে ধাক্কা মারে। এরপর সোজা ফুটপাথে উঠে শিশুটিকে সজোরে ধাক্কা মারে।এর জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

শহরের রাস্তাঘাট যেন 'মৃত্যুফাঁদ'! বেপরোয়া গাড়ির দাপটে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। এবার শহরের ফুটপাথও সুরক্ষিত নয়। বেপরোয়া বাইকের ধাক্কায় গুরুতর আহত সাত বছরের শিশু। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার কসবা শীতলামন্দির মোড়ে।

সুত্রের খবর, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাবা-মায়ের সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিল সাত বছরের শিশুটি। অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার জন্য ফুটপাথের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল সে। সেই সময় রুবির দিক থেকে প্রায় ১০০ কিমি বেগে ধেয়ে আসা একটি বেপরোয়া স্পোর্টস বাইক প্রথমে রাস্তার ব্যারিকেডে ধাক্কা মারে। এরপর সোজা ফুটপাথে উঠে শিশুটিকে সজোরে ধাক্কা মারে। শিশুটি ছিটকে পড়ে এবং ঘাড়ে গুরুতর চোট পায়। বাইক চালকও ছিটকে পড়ে অনেকটা দূরে।

এই ঘটনার পরই স্থানীয়রা দ্রুত শিশুটি এবং বাইক চালককে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক থাকায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। বাইক চালকের অবস্থাও যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাইকটি এতটাই দ্রুতগতিতে আসছিল যে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এর জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক অতীতে শহরে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বেপরোয়া চালকদের জন্য দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে মত শহরবাসীর। এই ঘটনায় ফের একবার শহরের পথ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফুটপাথ যদি নিরাপদ না হয়, তাহলে শিশুরা কোথায় নিরাপদে থাকবে? বেপরোয়া গাড়িচালকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ কসবা শীতলামন্দির মোড়ে দ্রুত গতিতে আসা বাইকটি ধাক্কা মারে একটি সাত বছরের শিশুকে। দুজনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নেওয়া হয় হাসপাতালে। শিশুর অবস্থাসঙ্কটজনক, সে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। বেপরোয়া গাড়িচালকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি শহরের পথ নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি তুললেন বাসিন্দারা। তারা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, রাত বাড়লেই বাইকের গতি বাড়িয়ে বেশ কিছু বাইক আরোহী যাতায়াত করে । এই গাড়ির ভয়ে রাস্তায় হাঁটতেও ভয় লাগে। অবিলম্বে এই বেপোরোয়া বাইকগুলোর প্রতি নজর দেওয়া দরকার।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।