বেশ কিছু ধরেই নানা অভিযোগের তদন্তে নেমে প্রতারকদের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ । অবশেষে সাফল্য এলেও এখানেই থামছে না পুলিশ। আরও গ্রেফতারির আশায় রয়েছে বলে জানা গেছে পুলিশ সূত্রে। তবে সাইবার প্রতারকদের দমনে এটা রাজ্য পুলিশের বড় সাফল্য বলেই মনে করছেন অনেকেই। 

সাইবার প্রতারণা বেড়েই চলেছে। এই অপশক্তিকে রুখে দিতে রাজ্য পুলিশের বিশেষ উদ্যোগ। অপারেশন ‘সাইবার শক্তি’র বিরাট সাফল্য তুলে ধরা হল পুলিশের পক্ষ থেকে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গত ১৫ দিনে ৪৬ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে প্রচুর সংখ্যায় সিমকার্ড, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড । বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও তদন্তকারী আধিকারিকরা ফ্রিজ করেছেন । বীরভূম থেকে গ্যাংয়ের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপরই পুলিশের জালে ধরা পড়তে থাকে একে একে সাইবার প্রতারকরা। যা পুলিশের বিরাট সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।

বেশ কিছু ধরেই নানা অভিযোগের তদন্তে নেমে প্রতারকদের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ । অবশেষে সাফল্য এলেও এখানেই থামছে না পুলিশ। আরও গ্রেফতারির আশায় রয়েছে বলে জানা গেছে পুলিশ সূত্রে। তবে সাইবার প্রতারকদের দমনে এটাকে রাজ্য পুলিশের বড় সাফল্য বলেই মনে করছেন অনেকেই।

এ বিষয়ে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার জানিয়েছেন, শতাধিক বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিটকার্ড, ডেবিট কার্ড, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রাজ্যে সাইবার প্রতারণা রুখতে চলছে অপারেশন সাইবার শক্তি। সাইবার প্রতারণার এই কেসে এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪৬জনকে । আসানসোল দুর্গাপুর, চন্দননগর, পূর্ববর্ধমান, হুগলি, বীরভূম সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে আরও অনেকে জড়িয়ে রয়েছে এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে , এমনই মত তদন্তকারীদের।

এডিজি দক্ষিণবঙ্গ জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলকেই ঘাঁটি বানাতে উদ্যোগী সাইবার প্রতারকরা । সেখান থেকেই কোটি কোটি টাকার প্রতারণা চলছে। তিনি জানিয়েছেন, জামতাড়া থেকে প্রতারকরা আসছে বাংলার ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন জেলাগুলিতে । তারপর প্রতারণার ফাঁদ পাতছে ছোট ছোট গ্যাং করে । কাজ হাসিল করে ফের আবার নিজের জায়গায় চলে যাচ্ছে প্রতারকরা। তিনি জানিয়েছেন, কয়েক দিনের জন্য এরা জামতাড়া থেকে বাংলায় এসে প্রথমে বাড়ি ভাড়া নিচ্ছে। এরপর সেখান থেকেই সেরে ফেলছে প্রতারণার কাজ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।