সংক্ষিপ্ত
বহু সেলিব্রেটিকে হতে হয়েছে কটাক্ষের শিকার। এই তালিকায় ঋতুপর্ণাকে শঙ্খ চোষা থেকে শুরু করে রচনা ব্যানার্জীকে কুমিরের কান্না বলেও ট্রোল করতে ছাড়েনি নেটিজেনরা। এই তালিকায় রয়েছেন বাংলার গর্ব সৌরভ গাঙ্গুলীও।
আরজিকরের ঘটনার পর নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের দাবিতে রাজ্যের প্রচুর মানুষ নেমেছেন রাস্তায়। জুনিয়র চিকিৎসকরা বিচারের দাবীতে রাত কাটাচ্ছেম রাস্তায়। এদের সঙ্গ দিয়েছেন স্বস্তিকা, উষশীর মতো আরও বহু সেলেবরা। যারা নিজেদের স্টারের তকমা সরিয়ে একেবারে আপ পাঁচটা সাধারন মানুষের মত মিশে গিয়েছেন এই আন্দোলনের মধ্যে। এর মধ্যে বহু সেলিব্রেটিকে হতে হয়েছে কটাক্ষের শিকারও। এই তালিকায় ঋতুপর্ণাকে শঙ্খ চোষা থেকে শুরু করে রচনা ব্যানার্জীকে কুমিরের কান্না বলেও ট্রোল করতে ছাড়েনি নেটিজেনরা। এই তালিকায় রয়েছেন এক সময় বাংলার গর্ব সৌরভ গাঙ্গুলীও।
এই প্রতিবাদের আগুনের ছ্যাঁকায় সমাজের মুখোশধারী বহু পরিচিত মুখগুলো একে একে প্রকাশ্যে আসছে। এর মধ্যেই অন্যতম আরেকটি নাম হল গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী (আগুন পাখি)। এক সময় বাম আমলে সরকারের বিরুদ্ধে গান গেয়ে জনপ্রিয় এই গায়কের গলায় এখন কোনও প্রতিবাদের সুর নেই কেন? উঠছে প্রশ্ন। শুধু প্রশ্ন নয় সরাসরি 'চাটিচটা' বলে তার বিরুদ্ধ সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। টিভি চ্যানেলের এক অনুষ্ঠানে তিনি এই বিষয়ে বলেন, "কতগুলো মানুষ বিচ্ছিন্নভাবে রাস্তায় হাঁটছে। যে যার মত দল তৈরি করে রাস্তায় নেমেছে, আমার কোনও দল নেই, আমি একা। আর এই বয়সে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য রাস্তায় নামতে কেন হবে বুঝতে পারছি না।"
গায়ক নচিকেতা আরও বলেছেন যে, "কোনও দলের হয়ে না হাঁটলে আবার শুরু হবে ট্রোলিং, কিন্তু ১৪ অগাস্ট নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে প্রথম প্রতিবাদ আমিই করেছিলাম। আমি প্রতিবাদ করলে এই বিকৃত মানবতার বিরুদ্ধে হাঁটবো, এদের চিকিৎসার প্রয়োজন আর এভাবে কেউ হাঁটবে না। রাজ্য কেন্দ্রীয় মধ্য কোনও সরকারের বিরুদ্ধে হেঁটে কোনও লাভ হবে না। এত বছর রাস্তায় হেঁটেছি সারা শরীরে ধুলো জমেছে, এখন বয়স হয়েছে।"