সংক্ষিপ্ত
সোমবার দুপুরে কসবার রথতলা সিলভার পয়েস্ট হাইস্কুলে ছাত্রের অস্বাভিবক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরিবারের অভিযোগ প্রজেক্ট জমা দিতে না পারায় শিক্ষক ছাত্রের ওপর মানসিক চাপ দিচ্ছিল।
খাস কলকাতার স্কুলে ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু। কসবার একটি স্কুলের পাঁচতলা থেকে নিচে পড়ে যায় দশম শ্রেণীর এক ছাত্র। আত্মহত্যা না স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে চাপানউতোর। কারণ নিহত ছাত্রের পরিবার কাঠগড়ায় তুলেছে স্কুলকর্তৃপক্ষকে। পরিবারের অভিযোগ ছাত্রের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল।
সোমবার দুপুরে কসবার রথতলা সিলভার পয়েস্ট হাইস্কুলে ছাত্রের অস্বাভিবক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরিবারের অভিযোগ প্রজেক্ট জমা দিতে না পারায় শিক্ষক ছাত্রের ওপর মানসিক চাপ দিচ্ছিল। তাতেই এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছ দুর্ঘটনার পরেই ছাত্রকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
দশম শ্রেণীর নিহত ছাত্রের বাবা জানিয়েছেন এদিন প্রজেক্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁর ছেলে প্রজেক্ট শেষ করতে পারেনি। প্রজেক্ট জমা দিতে পারেনি। সেই কারণে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক তাকে বকাবকি করে। কান ধরেও সকেলের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখে। ক্লাসের মধ্যেই তাঁর ছেলে হেনস্থার শিকার হয়। তাতেই নিশ্চিয়ই অপমানিত বোধ করছিল ছাত্র। তবে তাঁর ছেলে কীভাবে পড়ে গেল সে সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত নন বলেও জানিয়েছেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্কুলের নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন নিহত ছাত্রের বাবা। নিহত ছাত্রের বাবা আরও জানিয়েছেন, করোনা-কালে স্কুল ফি কমানোর জন্য তিনি সরব হয়েছিলেন। অভিভাবকদের জড়ো করে আন্দোলনও করেছিলেন। তাতে ৩৩ শতাংশ ফি কমাতে বাধ্য হয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁকে ও বিশেষ করে তাঁর ছেলে নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছিল। তাতেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলেও মনে করছেন। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ এখনও এই বিষয়ে কিছুই বলেনি।
অন্যদিকে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কসবা থানার পুলিশ। সূত্রের খবর কথা বলা হচ্ছে স্কুলকর্তৃপক্ষ ও পড়ুয়াদের সঙ্গেও। প্রয়োজনে নিহত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলা হবে। তাদের অভিযোগও গুরুত্ব দিয়ে শুনবে পুলিশ। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছে অনেকেই। অনেকেই এই ঘটনার সঙ্গে যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর মিল খুঁজে পাচ্ছে।