সংক্ষিপ্ত

টুইটারে সাকেত গোখলের গ্রেফতারের কথা বিস্তারিত জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। তিনি বলেছেন, সোমবার নতুন দিল্লি থেকে জয়পুর গিয়েছিলেন সকেত গোখলে।

সত্যি কথা বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলে, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার ও গুজরাটের বিজেপি সরকারের কুকীর্তি ফাঁস করে দিয়েছেন, ঠিক এই কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। নিজেদের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে সাকেত গোখলের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা জানিয়ে এমনই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।

টুইটারে সাকেত গোখলের গ্রেফতারের কথা বিস্তারিত জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। তিনি বলেছেন, সোমবার নতুন দিল্লি থেকে জয়পুর গিয়েছিলেন সকেত গোখলে। রাত ৯টা নাগাদ জয়পুরে নামেন তিনি। সেখানেই তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিল গুজরাট পুলিশের একটি দল। সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ ভোররাত প্রায় ২টো নাগাদ সকেতের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন তাঁর মা। টেলিফোনেই সকেত এই খবর তার মাকে দিয়েছিলেন।

 

আজ দুপুরে তাঁর আহমেদাবাদ পৌঁছানোর কথা। ডেরেক আরও জানিয়েছেন, পুলিশ সকেতকে দুই-এক মিনিটের জন্য ফোন করতে দিয়েছিল। তারপরই তাঁর মোবাইল ফোন ও সমস্ত গেজেট কেড়ে নিয়েছে। ডেরেকের কথা বিরোধী দলগুলির প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা অন্য একটি মাত্রা নিয়েছে বিজেপির আমলে। মোরবি ব্রিজ ভেঙে যাওয়া নিয়ে টুইট করার জন্যই সকেতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে গুজরাট পুলিশ। তেমনই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস নেতার।

সাকেতের গ্রেফতারির পর তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, সাকেত বরাবর কেন্দ্রীয় সরকারের নানা জনবিরোধী নীতির কড়া সমালোচনা করে এসেছেন। নির্ভীক ভাবে করা তাঁর ওই সমালোচনাই নেতিবাচক ভাবে দেখেছে শাসকদল। তাই তার বিরুদ্ধে এই চক্রান্ত করা হয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘‘সাকেতের গ্রেফতারি স্পষ্ট করে দিল বিজেপি দেশে একনায়কতন্ত্র চালাতে চায়।’’

 

এদিকে, সাকেতকে কোথায় রাখা হয়েছে, তার খোঁজ পেতে গুজরাতে যাচ্ছেন ডেরেকের নেতৃত্বে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। দলের তরফেও জানানো হয়েছে, তৃণমূল সবরকম ভাবে সাকেতের পাশে থাকবে। সাকেতের সমর্থনে ইতিমধ্যেই টুইট করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, লোকসভার সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারেরা।

কাকলি ঘোষদস্তিদার টুইট করে গোটা ঘটনার জন্য বিজেপিকে ধিক্কার জানান। তিনি লেখেন কাকে এত ভয় পাচ্ছে বিজেপি। গোটা ঘটনায় বিজেপির লজ্জা পাওয়া উচিত।

 

সুস্মিতা দেব লেখেন তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্রকে গ্রেফতার করে বিজেপি নিজের চেহারা দেখিয়েছে। বিজেপির মুখোশ খুলে দিয়েছেন সাকেত গোখলে। তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তৃণমূল এই হঠকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে যাবে।

 

উল্লেখ্য, সাকেত গোখলে অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘গুজরাতে মোরবী সেতু ভাঙার পর সেখানে মোদীর পরিদর্শনের জন্য ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে ৫ কোটি খরচ হয়েছে শুধু মাত্র মোদীকে অভ্যর্থনা জানানোর অনুষ্ঠান এবং ছবি তোলার জন্য। যেখানে মোরবী সেতু ভেঙে মৃত ১৩৫ জনকে মোট ৫ কোটি টাকার এককালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।’’ সাকেত ওই টুইটে আরও স্পষ্ট করে লিখেছিলেন, ‘‘শুধু মোদীকে স্বাগত জানানোর অনুষ্ঠানের দাম ১৩৫ জনের জীবনের থেকে বেশি!’’ সম্প্রতি ওই টুইটটিকে ভুয়ো বলে দাবি করে একটি পাল্টা টুইট করেছিল পিআইবি ফ্যাক্ট চেক নামে টুইটারের একটি ব্লু টিক দেওয়া ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট।