সংক্ষিপ্ত
পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বারবার মুসলিম-তোষণের অভিযোগ করে বিজেপি। এবার ওয়াকফ বিল নিয়েও সম্মুখ সমরে পশ্চিমবঙ্গের শাসক ও বিরোধী দল।
ওয়াকফ বিল নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়াচ্ছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৪-এর বিরোধিতা করে কলকাতার রাস্তায় নামে মুসলিমদের বিভিন্ন সংগঠন। এরপরেই বুধবার জানা গেল, বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে ওয়াকফ সংক্রান্ত বিল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। সংসদে কেন্দ্রীয় সরকার যে বিল পাশ করানোর চেষ্টা করছে, সেই বিলের বিরোধিতা করে পাল্টা বিল আনছে রাজ্য সরকার। ২০২৬ সালে রাজ্যে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে মুসলিম ভোট। ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুসলিম ভোটের সিংহভাগ পেয়ে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ভোট যাতে হাতছাড়া না হয়, সে বিষয়ে সজাগ ও সতর্ক রাজ্যের শাসক দল। ওয়াকফ বিলকে হাতিয়ার করে ফের কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি-র বিরুদ্ধে সুর চড়াতে তৈরি তৃণমূল কংগ্রেস।
মুসলিমদের চাপেই বিধানসভায় ওয়াকফ বিল?
মঙ্গলবার কলকাতায় জনসমাবেশ থেকে ওয়াকফ বিল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি-র বিরুদ্ধে সুর চড়ায় মুসলিমদের বিভিন্ন সংগঠন। এই সমাবেশ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, ওয়াকফ বিল পাশ করাতে দেওয়া হবে না। আগামী দিন কলকাতায় আরও বড় আকারে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। কলকাতা অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যাতে কেন্দ্রের পেশ করা বিলের বিরোধিতা করে, সেই দাবিও জানানো হয়। এরপরেই বুধবার জানা গেল, বিধাসভায় ওয়াকফ বিল আসছে।
বিরোধী দলগুলির সাংসদদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুসলিমদের সংগঠনগুলি
বিরোধী দলগুলির সাংসদরা একাধিক ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৪ নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তাঁদের এই ভূমিকায় খুশি নয় মুসলিমদের সংগঠনগুলি। বিরোধী দলগুলির সাংসদদের বৈঠক থেকে বেরিয়ে না আসার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'শতাব্দী প্রাচীন মন্দিরের জমি নিয়ে নিয়েছে ওয়াকফ বোর্ড'! গিরিডির জনসভা থেকে কড়া আক্রমণ অমিত শাহের
ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনায় উত্তাল যৌথ সংসদীয় কমিটি, বিরোধীরা বেরিয়ে গিয়ে আবারও ফিরে এলেন
ওয়াকফ বিল নিয়ে অভিজিৎ-কল্যাণের তর্কাতর্কি, কাচের বোতল ভেঙে হাত কাটল তৃণমূল সাংসদের