Mamata Banerjee on Covid: মহামারী বিদায় নিলেও এখনও যেন মেলেনি মুক্তি! রাজ্যে ফের কোভিড আতঙ্ক। বাড়ছে মৃতের সংখ্য়া? নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জনগণকে একগুচ্ছ পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীর। জানুন বিশদে…
Mamata Banerjee on Covid: মহামারীর বছর চারেক পরও রেহাই নেই। ফের দেশজুড়ে ছড়াচ্ছে কোভিড সংক্রমণ। রাজ্যে করেনায় ইতিমধ্যে একজন প্রাণ হারিয়েছেন। সোমবার আরও একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। যদিও দ্বিতীয় মৃতের শরীরে করোনার উপসর্গ থাকলেও বার্ধক্যজনিত শারীরিক অসুস্থতায় তিনি মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। যদিও পরিস্থিতির উপর সরকার ও রাজ্য প্রশাসনের যে সর্বদা নজর রয়েছে তা জানাতে সোমবার তড়িঘড়ি নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে করোনা নিয়ে তিনি রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করে জানান, কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে এখনই উদ্বেগের কিছু নেই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার যে সদা প্রস্তুত এদিন সে বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ''করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। স্বাভাবিক অবস্থাই বজায় থাকবে। মহামারী আর হবে না। তবে আগাম সতর্ক থাকাও ভালো। সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজনে চিকিৎসা করান। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি।''
করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুত স্বাস্থ্য দফতর। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে রাজ্যের সর্বোচ্চ নেত্রী আরও বলেন, ''সর্দি, কাশিতেও বুকে কষ্ট হয়। সমস্যা হলেই ডাক্তার দেখান। চেষ্টা করুন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান। সরকার পাশে ছিল, আছে, থাকবে। সতর্ক থাকতে হবে। আতঙ্কিত হবে না। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। আমরা প্রস্তুত।'' যদিও গত সপ্তাহেই রাজ্যে এক কোভিড-১৯ আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। যারফলে স্বাভাবিক ভাবেই অনেকেই ফের করোনাতঙ্কের ভয় পাচ্ছেন। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''যাদের কোমর্ডিবিটি আছে, বয়সটাও একটা বিষয়। ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
উল্লেখ্য, গত ৩ জুন কলকাতায় প্রথম করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৪৩ বছর বয়সি ওই মহিলা। ৫ দিন ধরে ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণে হিসেবে করোনা সংক্রমণের সঙ্গে কোমর্বিডিটিরও উল্লেখ করা হয়েছে। ডেথ সার্টিফিকেটে বলা হয়েছে হৃদযন্ত্র ও কিডনিতে সমস্যা ছিল মৃত মহিলার। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৫৪টি। যার জেরে বাংলা জুড়ে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৪৭ জন। এছাড়াও, গোটা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা ৩৫৮ জন। মোট অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্য়া ৬ হাজার ৪৯১ জন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
এদিকে করোনা মহামারীর চার বছর পর ফের দেশে নতুন করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষ করে দেখা দিচ্ছে লং কোভিড সংক্রমণের লক্ষণ। করোনার উপসর্গ দেখা দিচ্ছে ২ থেকে ৫ বছর বয়সী ছোটো শিশুদের মধ্যেও। জানা গিয়েছে, ভারতে ক্রমশ আরও সক্রিয় হচ্ছে করোনা। কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩,৭৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে কেরালায় সর্বোচ্চ ১,৪৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছে, এরপরই রয়েছে মহারাষ্ট্র। অন্যদিকে রাজ্যে ফের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যার জেরে শুরু হল করোনা বিধি পালন (Corona Rules In School)।
জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা, বমির মতো উপসর্গ দেখা দিলে স্বাস্থ্যকেন্দ্র অথবা চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্কুলগুলি। এমনকি পুরো সেরে না ওঠা পর্যন্ত স্কুলে আসতেও বারণ করা হয়েছে। প্রায় প্রত্যেকটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন, আগামী তিন মাস অর্থাৎ, জুন থেকে অগস্ট পড়াশোনার মরসুম। ওই তিন মাস স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। স্কুলে নিয়মিত আসতে হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


