- Home
- West Bengal
- Kolkata
- টেটে সমস্ত ভুল প্রশ্নের জন্য প্রত্যেক পরীক্ষার্থীই নম্বর পাবেন, বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা কলকাতা হাইকোর্টের
টেটে সমস্ত ভুল প্রশ্নের জন্য প্রত্যেক পরীক্ষার্থীই নম্বর পাবেন, বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা কলকাতা হাইকোর্টের
Calcutta High Court On TET: প্রাথমিক টেটের পরীক্ষার নম্বর নিয়ে এবার বড় ঘোষণা কলকাতা হাইকোর্টের। কী বলল আদালত? বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

টেট নিয়ে বড় আপডেট কলকাতা হাইকোর্টের
টেট নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্তের কথা জানালো আদালত। ২০১৭ ও ২০২২ টেটে সমস্ত ভুল প্রশ্নের জন্য প্রতেক পরীক্ষার্থীই নম্বর পাবেন। শুক্রবার পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। কোন পদ্ধতিতে নম্বর দেওয়া হবে, কত নম্বর দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে আগামী সোমবার আদালতে জানাতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে নির্দেশ হাইকোর্টের। তারপরই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত বলে জানা গিয়েছে।
আদালতে টেট মামলা
২০১৭ ও ২০২২ প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় একাধিক প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, ২০১৭ সালের টেটে ২৩টি এবং ২০২২ সালের টেটে ২৪টি প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগে মামলা হয় আদালতে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে আদালত। এবং কমিটির থেকে রিপোর্ট তলব করে আদালত। দীর্ঘদিন মামলা চলে বিষয়টি নিয়ে।
স্বস্তিতে পরীক্ষার্থীরা
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সেই সংক্রান্ত মামলায় স্বস্তির খবর জানালো আদালত। ২০১৭ ও ২০২২ টেট পরীক্ষার্থীদের জন্য স্বস্তির খবর কলকাতা হাইকোর্টের। দুই টেটেই সমস্ত ভুল প্রশ্নের জন্য প্রতেক পরীক্ষার্থীই নম্বর পাবেন। শুক্রবার পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। ফলে স্বস্তিতে পরীক্ষার্থীরা।
কবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত?
সূত্রের খবর, টেট মামলা নিয়ে সম্প্রতি বিশেষজ্ঞ কমিটি আদালতে রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্ট দেখেই শুক্রবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, রিপোর্ট দেখে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যাঁরা আদালতে এসেছেন এবং যাঁরা আদালতে আসেননি, তাঁদের প্রত্যেকে দুই টেটে সমস্ত ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর পাবেন। কোন পদ্ধতিতে নম্বর দেওয়া হবে, ঠিক কত নম্বর দেওয়া হবে, সে ব্যাপারে আগামী সোমবার আদালতে জানাবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তারপরই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।
নতুন শূন্যপদে নিয়োগে জট
পাশাপাশি, সম্প্রতি প্রাথমিকে মোট ১৩ হাজার ৪২১ শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। গত ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে আবেদনের প্রক্রিয়া। এদিন মামলার শুনানিতে সেই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মামলাকারীরা। প্রশ্ন ভুলের মামলা বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও কেন নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল? সেই প্রশ্ন তোলেন মামলাকারী পরীক্ষার্থীরা।

