সংক্ষিপ্ত
আগামী সাত দিনেও শহরে পারদ পতনের তেমন সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে।
নতুন বছরেও হাওয়া বদলের কোনও লক্ষণ নেই। ভোরের দিকে শিরশিরে ঠান্ডায় শহরবাসীর ঘুম ভাঙলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডার আমেজ কাটবে বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। বছরের প্রথম দিনে গতকালের তুনায় তাপমত্রা সামান্য বাড়ল বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বছরের প্রথম দিনেই কুয়াশা মোরা সকাল দেখে ঘুম ভাঙল শহরবাসীর। বাতাসে জ্বলীয় বাষ্পের কারণে রবিবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার প্রভাবও কাটবে বলে জানাচ্ছে আলিপুর। তবে ২০২৩ সালেও কনকনে শীতের কোনও ইঙ্গিত এখন পর্যন্ত মিলছে না। আগামী সাত দিনেও শহরে পারদ পতনের তেমন সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৬ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে।
গতকালের তুলনায় আরও একটু বাড়ল। নতুন বছরের প্রথম দিনেই শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নতুন বছরের শুরুতেই কুয়াশাচ্চন্ন সকাল পেল বাঙালি। তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের ঘরে থাকলেও এখনও অধরা কনকনে শীত। আগাম এক সপ্তাহেও পারদ পতনের তেমন সম্ভাবনা নেই। আজ বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৪ শতাংশ।
গতকাল শহরের তাপমাত্রা আরও একটু কম ছিল। ৩১ ডিসেম্বর কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। যা স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রি কম। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল শহর। তবে বেলা বাড়তেই কুয়াশার প্রভাব কমবে বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। মূলত পরিষ্কার আকাশই দেখবে শহরবাসী। এই মুহূর্তে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯১ শতাংশ।
এইবছরে উষ্ণতম বড়দিনের সাক্ষী থেকেছে গোটা শহর। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে বঙ্গে তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব কাটতেই ফের কমতে থাকে শহরের তাপমাত্রা। তবে বাঙালির জাঁকিয়ে শীতের আশা এই বছর পূরণ হল না। বড়দিনের সকালেও কনকনে ঠান্ডার আমেজ পায়নি বাঙলি। সকাল দিকে শিরশিরে ঠান্ডা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থির বদ ঘটে। গত কয়েকদিন ধরেই ঊর্ধ্বমূখী ছিল তাপমাত্রার পারদ। সৌজন্যে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত। যার প্রভাবে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে উত্তর পশ্চিমের শীতল হাওয়া। ফলে বছর শেষ হতে চললেও দেখা নেই শীতের। মাঝে কয়েকদিন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে গেলেও তা স্থায়ী হয়নি। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনেও কনকনে ঠান্ডা উপভোগ করতে পারেনি বঙ্গবাসী। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে দুই বঙ্গেই প্রচুর পরিমাণে জ্বলীয়বাষ্প প্রবেশ করেছে। ফলে বড়দিনের দিন সকাল থেকেই কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল শহর। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার আকাশই দেখল কলকাতা।
আরও পড়ুন -
নতুন বছরের প্রথম দিনে নেই বাড়তি লোকাল ট্রেন বা বাস, ভিড় সামলাতে অন্যপথে মেট্রো
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন নয় প্লেন, প্রথম যাত্রাতে উত্তেজিত ছাত্রীর প্রতিক্রিয়া