এমনিতে পথঘাটে থুতু বা পানের পিক ফেলা নিয়ে আইন রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এবার স্বচ্ছতা অভিযানে একধাপ এগিয়ে এ নিয়ে বিল আনার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সরকার। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশনে বিল পেশ হবে বলে খবর।
রাস্তাঘাটে যেখানে সেখানে পান বা গুটখা খেয়ে পিক ফেললে এবার দিতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা । চলতি বাজেট অধিবেশনে এমনই বিল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। যত্রতত্র থুতু , পান ও গুটখার পিক ফেলে নোংরা করার প্রবণতা নিয়ে কড়া অবস্থানের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনিতে পথঘাটে থুতু বা পানের পিক ফেলা নিয়ে আইন রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এবার স্বচ্ছতা অভিযানে একধাপ এগিয়ে এ নিয়ে বিল আনার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সরকার। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশনে বিল পেশ হবে বলে খবর।
মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর আইন আনা যায় কিনা সেইসঙ্গে জরিমানার অঙ্ক কী হবে তা পর্যালোচনা করতে হবে। কলকাতা শহরে যত্রতত্র গুটখা বা পানের পিক ফেলে নোংরা করে দেওয়ার ছবিটা একেবারে স্বাভাবিক । এমনকি বিভিন্ন অফিসের দেওয়ালে বা সিঁড়ির দেওয়ালেও এই নোংরা করার প্রবণতা চোখে পড়ে হামেশাই । শুধু তাই নয়, পথেঘাটে যেখানে সেখানে প্রস্রাব করে বেরিয়ে যান অনেকে।
পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সম্প্রতি এই নিয়ে মুম্বই, পুণে, তেলেঙ্গানা কড়া অবস্থান নিয়েছে । এবার সেই পথেই হাঁটতে চলেছে বাংলাও। মুখ্যমন্ত্রী যে আইন আছে, তাতে সন্তুষ্ট নন বরং পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে আরও কড়া অবস্থানের কথা জানিয়েছেন ।
শহর তিলোত্তমার এই অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে লেখালেখি বা অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন অনেকেই । কিন্তু সচেতনার অভাবে পরিস্থিতিটা কখনওই বদলায়নি। আইন থাকলেও নোংরা করার প্রবণতাও থেকে সরে আসেন নি অনেকেই।
প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে ২০০১ সালেই আইন প্রণয়ন হয়েছে। ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রোহিবিশন অফ স্মোকিং অ্যান্ড স্পিটিং অ্যান্ড প্রোটেকশন অফ হেল্থ অফ নন-স্মোকারস অ্যান্ড মাইনর অ্যাক্ট, ২০০১’ অনুসারে, প্রকাশ্যে থুতু বা গুটখার পিক ফেললে প্রথমবার ১,০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। দ্বিতীয়বার ধরা পড়লে জরিমানার পরিমাণ বেড়ে হতে পারে ২,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত । তাই মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন, এবার আরও কঠোর করা হোক আইন এবং কোনওরকম ঢিলেমি না থাকুক নিয়ম পালনের ক্ষেত্রে। শহরের পরিবেশ ও সৌন্দর্য রক্ষা করতে যে কঠোর পদক্ষেপের বার্তা তিনি দিয়েছেন এবার তা মেনে চলতে প্রশাসন কী পদক্ষেপ করবে এখন সেটাই দেখার বিষয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
