সংক্ষিপ্ত

 ভগবানপুরে বিজেপি কর্মী হত্যাকাণ্ডে অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। অভিযোগ পুরোটাই ওড়িয়ে সুকান্ত-দিলীপের লড়াইকে দায়ী করলেন  তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি কুণাল ঘোষ । 


 

ফের খুন (Murder Case)বিজেপি কর্মী (BJP Worker)। ভগবানপুরে বিজেপি কর্মী হত্যাকাণ্ডে অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।  যদিও  অভিযোগ পুরোটাই ওড়িয়ে   সুকান্ত-দিলীপের (Sukanta Majumdar and Dilip Ghosh) লড়াইকে দায়ী করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি কুণাল ঘোষ (TMC Leader Kunal Ghosh)। 

আরও পড়ুন, Suvendu Adhikari: 'বহিরাগত সুস্মিতার পর রাজ্যসভায় ফেলেইরিও', বিস্ফোরক শুভেন্দু, ময়দানে কুণাল

 বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ ব্লকের ভূপতিনগর থানার বাসুদেববেরিয়া অঞ্চলের ১১৪ নম্বর খাটিয়াল বুথ এলাকায়। জানা গিয়েছে, এলাকার বিজেপির সক্রিয় কর্মী ভাস্কর বেরা কালীপূজা উপলক্ষ্যে মায়ের ঘট উত্তোলনের জন্য যাওয়ার সময়  তৃণমূলের  হার্মাদরা তাঁকে ফাঁকের দিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করে । সেখানে পিটিয়ে মেরে ফেলে বলে বিজেপির অভিযোগ। জানা গিয়েছে, ওই কর্মী বুথের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের কাজ করছিলেন। খুনের পর খুন হচ্ছে, অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। উল্লেখ্য  দিন কয়েকদিন আগে ভগবানপুরের দেঁড়েদিঘী এলাকায় চন্দন মাইতি খুন হয়েছিল। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে। তাঁরই মধ্যে ভগবানপুর ২ ব্লকের বাসুদেব বেড়িয়ায় বিজেপি কর্মী ভাস্কর বেরাকে রাতের বেলায় ডেকে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করার পর প্রাণে মেরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ বিজেপির।  রবিবার ভোরে বাড়ির অদূরেই ওই বিজেপি নেতার ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। উদ্ধার করে প্রথমে তাকে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হতেই চন্দন মাইতিকে নিয়ে যাওয়া হয় তমলুক জেলা হাসপাতালে। কিন্তু নিতে নিতে সব শেষ। বিজেপি নেতার মৃত্য়ু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। যদিও গোটা ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল, ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে।

আরও পড়ুন, 'ইনডোর ম্যাচ নয়, আউটডোর খেলি', তথাগত-র তোপের পাল্টা এবার দিলীপ

তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'ভগবানপুরে বিজেপি কর্মী খুনে তৃণমূল কোনওভাবেই যুক্ত নয়। ওটা ওদের দলের গোষ্ঠীদ্বন্বের ফল। কুণাল আরও বলেন, রাজ্য় বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষের লড়াই চলছে। তার থেকেই এই কাণ্ড ঘটেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগাযোগ নেই।' প্রসঙ্গত,  বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসায় একের পর এক খুন হয়েছে। এখনও অনেকে ঘর ছাড়া বলে দাবি বিজেপির। জাতীয় মানবধিকার কমিশনের রিপোর্ট পাওয়ার পর হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তবে ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে তৃণমূল। একাধিক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু পর সরব তৃণমূলও। তবে রাজ্যে অমিত শাহ এসে ভোটের পর এক ভয়াবহ পরিসংখ্যান দিয়েছিলেন। ওদিকে ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে ভো পরবর্তী হিংসায় মৃত  মগরাহাটের  বিজেপি প্রার্থী মানস সাহার দেহ নিয়ে মিছিল শুরু করে রাজ্য বিজেপি। যদিও বিজেপি প্রার্থী মানস সাহা হত্যাকাণ্ডেও তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। 

আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

YouTube video player