সংক্ষিপ্ত
কাশফুল থেকে হাঁসের পালক, বৃহস্পতিবার 'আইডিয়া' সহ একাধিক নয়া শিল্পের ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বৈঠক থেকে হাওড়ার বিনিয়োগের বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার একাধিক নয়া শিল্পের (New industrial hubs)ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। দিলেন কাশফুল থেকে হাঁসের পালক নিয়ে 'আইডিয়া'। এদিন হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে শিল্পপতি, জনপ্রতিনিধি, আমলা এবং পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee )।
মমতা বলেছেন, আমার একটা অন্য আইডিয়া আছে। এই যে আমাদের এখানে এত কাশফুল হয়। একমাসের জন্য ওই ফুল আসে এবং ঝরে যায়। তাঁকে অপচয় না করে বালিশ, বালাপোষ তৈরি করা গেলে কিন্তু দারুণ হবে। এরপরেই বৈঠকে উপস্থিত আধিকারিকদের বিষয়টি দেখতে বলেন। কোনও কেমিক্যাল ব্যবহার করে কাশ ফুলকে বালিশ, তোষক তৈরির কাজে লাগানো যায় কিনা, এনিয়েও গবেষণার নির্দেশ দেন তিনি। এদিন বৈঠক থেকে হাওড়ার বিনিয়োগের বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি বলেন, হাওড়ায় একাধিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করা হবে। আগামী দুই বছরে সম্ভাব্য বিনিয়োগ আসতে চলেছে ১০ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। কর্মসংস্থান হবে ১ লাখ ১৬ হাজার মানুষের। অর্থাৎ হাওড়াতে শিল্পে বিনিয়োগের ফলে রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থান হতে চলেছে বলে ইঙ্গিত দেন এদিন মমতা। তিনি আরও বলেন, উলুবেড়িয়া শাটল কক তৈরির জন্য বিখ্যাত। এক্ষেত্রে মূল উপকরণ হাঁসের পালক। আর সেটা চিন কিংবা দেশের অন্য কোনও জায়গা থেকে আমদানি করতে হয়। আর এবিষয়েই মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, তোমারা তো এখন হাঁসের পোলট্রি করছ। এখন গ্রামগঞ্জে হাঁস আছে। সেল্ফ হেল্প গ্রুপকে হাঁসের পালকটা সংগ্রহ করতে বলো। এবার দুয়ারে হাঁসের পালক।'
আরও পড়ুন, Dilip Ghosh: 'হোয়াইটওয়াশ করার চেষ্টা', প্রশাসনিক বৈঠকে মমতার ধমক ইস্যুতে কটাক্ষ দিলীপের
অপরদিকে, নয়াচরে নতুন ফিশিং হাব তৈরির কথা ঘোষণার পাশাপাশি মমতা বলেন, মৎসজীবীদের জন্য আলাদা ক্রেডিট কার্ড চালু হোক। তাতে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের কথা উল্লেখ করেন আধিকারিকরা। মমতার সংযোজন, না, কৃষকরা আলাদা। মৎসজীবীরা আলাদা। তাঁরা মৎসপালন করেন। তাঁদের জন্য আলাদাই হোক ক্রেডিট কার্ড।' ওদিকে বাংলা ডেয়ারি-র কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তিনি ঘোষণা করেন, নভেম্বরের শেষ থেকেই চালু হয়ে যাচ্ছে। ঘি, দুধ ছাড়াও পনিরের মতো একাধিক দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি হবে। এই ঘোষণার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। জেলায় জেলায় কারা বাংলা ডেয়ারি- ডিলারশিপ নিতে চায়, তাঁদের খোঁজ নিতে বলেছেন তিনি। তাঁদের আবেদন দ্রুত পূরণ করতে সাহায্যের নির্দেশ দিলেন তিনি।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে