সংক্ষিপ্ত
পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের লাকুড়িয়ার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অসীম দাসকে খুন করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনা খুবই 'দুঃখজনক' বলে জানিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের লাকুড়িয়ার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অসীম দাসকে খুন করা হয়েছে। গতকাল সন্ধেয় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার জন্য বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দায়ি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পাল্টা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। যদিও এই ঘটনা খুবই 'দুঃখজনক' বলে জানিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- 'দাদা' বলে ডাক, তারপরই সব শেষ, মঙ্গলকোটে খুন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি
মঙ্গলকোটের এই ঘটনা প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, "যে কোনও মৃত্যু দুঃখজনক। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন কোথাও কোনও অশান্তি নেই। রাজ্যে সব জায়গায় শান্তি রয়েছে। সব বিষয়ে রাজনীতির গন্ধ না দেখে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যে খুন করেছে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তৃণমূলের লোক খুন হয়েছে এটা দুঃখজনক ঘটনা। কিন্তু, সেটা যে বিজেপি করেছে এটা এখনই বলে ফেলা ঠিক হবে না। তদন্ত করে দেখে যারা প্রকৃত দোষী তাদের গ্রেফতার করা উচিত।"
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধেয় কাশেমনগর থেকে কাজ সেরে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন অসীমবাবু। ঠিক সেই সময় সিউরমোড়ের কাছে তাঁকে পিছন থেকে ডাকে দুষ্কৃতীরা। বাইক থামাতেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। গুলি লাগে তাঁর বুকে। এরপর তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান বাসিন্দারা। আর সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
বিধানসভা নির্বাচনের পর দলের সংগঠন চাঙ্গা করতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর পূর্ব সাংগঠনিক জেলা সদর দফতরে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলার কার্যকর্তারা। সেখানে উপস্থিত হয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মঙ্গলকোটের ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশকে একহাত নেন শুভেন্দু। রাজ্য সরকারের কথা মতোই পুলিশ চলে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বলেন, "পুলিশ আর তৃণমূল কংগ্রেস সমার্থক হয়ে গেছে। তৃণমূল হয়তো বলেছে যে বিজেপির নেতাকে ফাঁসাও তাই ফাঁসাচ্ছে।"
রাজ্যে একের পর ধরা পড়ছে ভুয়ো আইপিএস, ভুয়ো সিবিআই অফিসার। এর জন্যও রাজ্য সরকারকেই দোষারোপ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নেই। নবান্ন বন্ধ থাকে স্যানিটাইজেশানের নামে।" এদিকে ২০১৮ সালে তাঁর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করছে সিআইডি। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুভেন্দুকেও ডাকা হতে পারে বলে অনুমান। যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। বরং এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করার নির্দেশ দিয়েছেন।