সংক্ষিপ্ত
- করোনা ত্রাণ নিয়েও রাজনীতি
- ত্রাণ সামগ্রীর প্যাকেটে ছবি
- বিতর্কে রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক
- জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিকমহলে
করোনা ত্রাণ নিয়েও রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের পথে হেঁটে এবার ছবি বিতর্কে জড়ালেন রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্তও। অস্তিত্ব সংকটে ভুগছেন না তো? জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিকমহলে।
আরও পড়ুন: ঘৃণ্য অপরাধ করেছেন সাংসদ-এসপি, 'সোনারপুর হোমকাণ্ডে' মুখ খুললেন বিকাশ
একদিন কাজে না বেরলে বাড়িতে হাঁড়ি চড়বে না। লকডাউনে জেরে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন গরিব, খেটে খাওয়া মানুষেরাই। বিপদের সময়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো থাকার চেষ্টা করছেন সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারাই। ত্রাণ বিলি চলছে রাজ্যের সর্বত্রই। বাদ নেই উত্তর দিনাজপুরও। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দুঃস্থদের কাছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা খাদ্যসামগ্রী পৌছে দেওয়া কাজ শুরু করেছেন। শুধু তাই নয়, ত্রাণের প্যাকেটে আবার জ্বলজ্বল করছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি! এই ঘটনা নিয়ে যখন সমালোচনায় সরব বিরোধীরা, তখন শাসকদলকেই অনুসরণ করলেন রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত।
আরও পড়ুন: মাস্ক পরেই মালাবদল, লকডাউনে অভিনব বিয়ের আসর খড়গপুরে
আরও পড়ুন: সন্ধে নামতেই 'করোনা বৃষ্টি'-তে ছড়াল আতঙ্ক, পুরুলিয়ায় এই ঘটনার পিছনে আসল সত্য কী
জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে নিজের বিধানসভা এলাকায় ত্রাণ বিলি শুরু করবেন বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত। প্রথম পর্যায়ে চাল, আলু ও সোয়াবিন দেওয়া হবে প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষকে। কিন্তু ঘটনা হল, সেই ত্রাণের প্যাকেটেও নিজের ছবি লাগিয়েছেন রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক। কেন? মোহিত সেনগুপ্তের সাফাই, দলীয়ভাবে নয়, ব্যক্তিগত উদ্যোগে লকডাউনের সময়ে ত্রাণ বিলি করছেন। তাই প্যাকেটে ছবি লাগিয়ে কোনও ভুল কাজ করেননি। রাজনৈতিক কারণে অহেতুক বিতর্ক তৈরির চেষ্টা হচ্ছে।
সে তিনি যাই বলুন না কেন, এই ঘটনায় এলাকার বিধায়ককে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সন্দীপ বিশ্বাস। তাঁর সাফ কথা, 'এতদিন পর্যন্ত ত্রাণের প্যাকেটে ছবি দেওয়ার বিরোধিতা করতেন যিনি, তিনি এখনও ছবি দিচ্ছেন। কেন দিচ্ছেন? সেটা বলতে হবে।' মানুষের মন থেকে হারিয়ে যাওয়ার ভয়েই কি এই পন্থা নিলেন? প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলার সভাপতি কানাইলাল আগরওয়ালও।