সংক্ষিপ্ত

সংক্রমণের উপর রাশ টানতে ফের কনটেনমেন্ট জোন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। কলকাতায় ২টি সেফ হোম চালু করা হচ্ছে।

দুর্গাপুজোর (Durga Puja) পরই ফের লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার (Corona) সংক্রমণ। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৭৪। শুধুমাত্র কলকাতাতেই (Kolkata) একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৮ জন। এই পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন নবান্ন (Nabanna)। আর সেই পরিস্থিতি সামলাতে কোমর বেঁধে নামল প্রশাসন। রাজ্যের সব জেলাশাসকদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক করেন মুখ্য়সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Hari Krishna Dwivedi)। তারপরই করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ (corona restriction) কঠোরভাবে প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। সংক্রমণের উপর রাশ টানতে ফের কনটেনমেন্ট জোন (containment zone) করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। কলকাতায় ২টি সেফ হোম চালু করা হচ্ছে।

করোনা নিয়ন্ত্রণে কলকাতার নগরপাল সহ বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেই বৈঠকে কলকাতায় কঠোরভাবে করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় বিধিনিষেধ প্রয়োগের জন্য পুলিশ কমিশনারকে (Police Commissioner) নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া যে এলাকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা খুব বেশি পরিমাণে বাড়ছে সেখানে ফের কন্টেনমেন্ট জোন চালু করার নির্দেশও দিয়েছেন। 

আরও পড়ুন- আজ থেকে ৫ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী, খতিয়ে দেখবেন পাহাড়ের পরিস্থিতি

রাজ্যের প্রশাসনিক দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, রাতের বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে কোনও ছাড় দেওয়া যাবে না। শনিবার থেকেই তা কঠোর হাতে দমন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে করোনা বাড়লেও বহু মানুষেরই তা নিয়ে কোনও হুঁশ নেই। এখনও মাস্ক না পরেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন অনেকেই। তাও কড়া হাতে দমন করছে প্রশাসন। মাস্ক না পরায় উত্তরপাড়া ও ডানকুনি থেকে বিপুল পরিমাণ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন- 'রোহিঙ্গাদের চুলের মুঠি ধরে ওপারে পাঠাতে হবে', হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

দুর্গাপুজোর সময় করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় বিধিনিষেধের উপর ছাড় ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এমনকী, নাইট কারফিউ তুলে দেওয়া হয়েছিল। তার জেরে দ্বিতীয়া থেকেই মণ্ডপে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। অবশ্য এর মাশুল যে দিতে হবে তা নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন চিকিৎসকরা। আর সেই আশঙ্কার ছবি ধরা পড়ছে স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যানে। 

জুলাইয়ের পর রাজ্যে ফের একবার এক হাজার ছুঁইছুঁই দৈনিক সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। তবে রাজ্য প্রশাসন সবথেকে বেশি চিন্তিত কলকাতাকে নিয়ে। কারণ কলকাতায় একদিনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আড়াইশো ছাড়িয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেরই করোনার দু'টি ডোজেরই টিকা নেওয়া রয়েছে। তালিকায় কলকাতার পরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এই পরিস্থিতিতে ফের কনটেনমেন্ট জোন ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। উত্‍সবের মরশুম শেষে এসপ্তাহের শুরু থেকেই দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে থাকে। 

আরও পড়ুন- মেলেনি আবাস যোজনার ঘর, ফিরহাদের সভায় যেতে বলায় নেতাদের তাড়া করলেন গ্রামবাসীরা

জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যসচিবের তরফে, রাজ্যজুড়ে কঠোরভাবে কনটেনমেন্ট জোন তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নাইট কারফিউ জারির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের গতি বাড়াতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সব হাসপাতালের করোনা পরিষেবা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। এছাড়া রাত সাড়ে ১০টার পরে রেস্তরাঁ-পানশালা বন্ধ রাখা ও ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রেখে রেস্তরাঁ খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

YouTube video player