সংক্ষিপ্ত
হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডের পর নির্যাতিতার পরলৌকিক ক্রিয়াতেও বাঁধা। পরলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারল না পরিবার। নির্দিষ্ট সময়ে নির্যাতিতার বাড়িতে পৌছালেন না পুরোহিত।
হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডের পর নির্যাতিতার পরলৌকিক ক্রিয়াতেও বাঁধা। পরলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারল না পরিবার। নির্দিষ্ট সময়ে নির্যাতিতার বাড়িতে পৌছালেন না পুরোহিত। এদিকে যতো দিন গড়াচ্ছে, ততই হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে বিতর্ক বাড়ছে। এবার মৃত্যুর পরেও মেলেনি শান্তি। পরিবারের দাবি, হুমকি দেওয়া হচ্ছে পুরোহিতকেও। সেই কারণেই নির্যাতিতার বাড়ি পৌছাতে পারলেন না তিনি।
সূত্রে খবর, ৪ এপ্রিল রাতে জন্মদিনের পার্টিতে ডাকা হয়েছিল ওই নাবালিকাকে। এরপর জন্মদিনে ডেকে তাকে মদ্যপান করায় ব্রজগোপাল। এরপরেই সে এবং তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে। যৌন নির্যাতন এতটাই হয়েছিল যে, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকে ব্যাপক রক্তপাত ঘটে। রক্তে ভিজে যায় অন্তর্বাস। রাতে এক মহিলাকে দিয়ে নাবালিকা প্রেমিকাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে। অভিযোগ এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে ওই নাবালিকা। এদিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় ব্রজগোপাল। এরপরেই অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার।এদিকে নৃশংসঘটনা এখানেই শেষ হয়নি। অপরাধ ঢাকতে দেহ সৎকারে বাধ্য করে বজ্রগোপাল। তাই মাঝে কয়েকদিন কেউ কিছু জানতে পারেনি।
আরও পড়ুন, 'বাংলা গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বার, পুড়িয়ে মেরে চাকরি দেওয়া হচ্ছে', বিস্ফোরক রাজ্যপাল
ঘটনার পরেই শনিবার হাঁসখালি থানায় নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযোগে জানানো হয়। মেয়ের মৃত্যুর পরে বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলে ভয়াবহ অভিযোগ ওঠে। আর তাতে জড়িত ছিল ব্রজগোপাল এবং তার দলবল। এরপরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে ব্রজগোপালকে গ্রেফতারের দাবি ওঠে। রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করে হাঁসখালি থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। মৃতের মা-বাবা গণধর্ষণের অভিযোগ করলেও ,এফআইআর-এ ধর্ষণের অভিযোগ করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ। তাঁছাড়া ৪ দিন ধরে কী করেছে হাসখালি থানার পুলিশ শেই প্রশ্নও উঠেছে। তবে এদিন নির্যাতিতার বাড়ি গেলে আৎও কিছু নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।
আরও পড়ুন, ধৃত সত্যবানের হোটেল থেকেই কি তপন কান্দু খুনের ষড়যন্ত্র ? বিস্ফোরক তথ্যের তদন্তে সিবিআই
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে রাজ্য পুলিশে ভরসা হারিয়ে একাধিক নৃশংস অপরাধের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একুশের ভোট পরবর্তী হিংসার পর ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যা, রামপুরহাটের তৃণমূল উপপ্রধান হত্যা, বগটুই গণহত্যা, মাটিয়া ধর্ষণ কাণ্ড এবং এই মুহূর্তে হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনায়, আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি-সহ অন্যান্য শাসকবিরোধী দল এবং রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন, হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে কেস ডাইরি হাতে নিল সিবিআই, আজই নির্যাতিতার বাড়িতে প্রতিনিধি দল