সংক্ষিপ্ত

  • স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নাম করে, তার আড়ালে চলছিল মধুচক্র  
  • প্রায় ২৫ কোটি  টাকার প্রতারনার অভিযোগ, ধৃতের বিরুদ্ধে  
  • পত্র মিতালীর নামে বিজ্ঞাপন দিয়ে খরিদ্দার সংগ্রহ করত তারা 
  •  ধৃতের বিরুদ্ধে নিউ টাউন থানাতেও  প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে 
     

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নাম করে, তার আড়ালে চলছিল মধুচক্র। এই ঘটনায় উত্তর ২৪ পরগনা বারাসাত অশ্বিনীপল্লী  থেকে প্রভাষ হালদার নামে এক সন্দেহ ভাজন ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করে সি আই ডি । অপর মূল অভিযুক্ত ঘনশ্যাম হালদার পলাতক। প্রায় ২৫ কোটি  টাকা প্রতারনার অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে।  মূল অভিযুক্তর খোঁজে সোমবার রাতে বারাসাত থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সিআইডির একটি বিশেষ দল যৌথ অভিযান চালিয়ে বারাসাতের অশ্বিনী পল্লী মানিকনগর অঞ্চল থেকে ঘনশ্যাম হালদার এর দাদা প্রভাস হালদার কে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য গ্রেপ্তার করে । 

আরও পড়ুন, পুরভোটে তৃণমূলের ছাল চামড়া গোটাবেন, বাঁকুড়ায় হুঁশিয়ারি বিজেপি সাংসদের

সূত্রের খবর, কল্যাণী থানায় অভিযোগের ভিক্তিতে এই তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ । সপ্তাহ দেড়েক আগে মধ্যমগ্রামের রামমোহন স্টেটের একটি বাড়িতে ভুয়ো অফিসের হদিস পায় সিআইডি। সেখান থেকেই বন্ধুত্ব বা  পত্র মিতালীর নামে বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন দিয়ে খরিদ্দার সংগ্রহ করত ঘনশ্যাম। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নাম করে তার আড়ালেই চড়া দরে মধুচক্র চালানো হত এই অফিস থেকে।   খরিদ্দারদের বাগে আনতে অন্তরঙ্গ ও আপত্তিকর ভিডিও দেখিয়ে ব্লাকমিলিং করে মোটা টাকা আদায় করত সেই সব খরিদ্দারদের থেকে। এবং সেই সমস্ত খরিদ্দারের থেকে ব্ল্যাকমেলিং করে আদায় করা টাকা ঐ অফিসের কর্মচারীদের এবং গ্রামের দুঃস্থ ছেলে মেয়েদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকিয়ে নিত। তারপর  সেখান থেকে সেই টাকা ক্যাস করে তুলে নিয়ে নেয় ঘনশ্যাম হালদার । বেশ কিছু বছর ধরে এই প্রতারণার চক্র চালাত এই প্রতারক। কল্যাণী থানায় এক ব্যক্তির এইরকম প্রতারিত হবার অভিযোগকে কেন্দ্র করে তদন্তে নামে ভবানী ভবন এর সিআইডি দল। 

আরও পড়ুন, দামোদর পেরিয়ে আসানসোলে ঢুকল হাতি, হীরাপুরে মৃত ১

মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে অফিসের হদিস পায় উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে রামমোহন স্টেটের একটি তিনতলা বাড়িকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অফিস বানায় সেখান থেকেই এই প্রতারণার চক্র চালাতে থাকে ঘনশ্যাম । বাড়ির মালিককে মোটা টাকা ভাড়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘনশ্যাম বাড়িটি ভাড়া নেয়। ঐ বাড়ি থেকে ভবানী ভবন থেকে সিআইডির একটি দল আসে  এবং ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে । তাদের কাছেই জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘনশ্যাম এর হদিস পায় সিআইডি । মূলত ফোনের মাধ্যমে আলাপচারিতা এবং ফ্রড মামলা দায়ের করে। আর সেই তদন্তে নেমে সোমবার রাতে সিআইডি   ঘনশ্যাম হালদার এর খোজেই এই তল্লাশি অভিযান । ঘনশ্যাম এর দাদা প্রভাস হালদার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ভবানী ভবনে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘনশ্যাম এর বিরুদ্ধে প্রায় ২৫ কোটি  টাকা প্রতারনার অভিযোগ রয়েছে । এর আগে ও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বারাসাত ও নিউ টাউন থানায় বহু প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।