সংক্ষিপ্ত

  • মমতার ছবিতে রং লাগিয়ে বিকৃতি
  • শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের ঘটনা
  • থানায় অভিযোগ দায়ের তৃণমূলের
     

উত্তরবঙ্গ সফরে কার্শিয়াংয়ে  প্রশাসনিক বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক সেই সময়ই ছবি- সহ ফ্লেক্সে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ, ফ্লেক্সে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে লাল রং দিয়ে ঠোঁটে লিপস্টিক, কপালে সিঁদুর পরানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে। ঘটনায় তদন্তের শুরুতেই প্রাথমিকভাবে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থানে পৌঁছন দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জন সরকার- সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। 

এ দিন সকালে পরিজনের চিকিৎসা করাতে এসে প্রথম এক রোগীর আত্মীয়ই প্রথম বিষয়টি খেয়াল করেন। তড়িঘড়ি ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে থাকা তৃণমূল কর্মীকে খবর দেন তিনি। খবর পেতেই জেলা সভাপতি- সহ অন্যান্য নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। পৌঁছয় পুলিশও। এর পর পুলিশের উপস্থিতিতে তড়িঘড়ি নামানো হয় ওই ফ্লেক্স। বিকৃত ছবিটি কাপড় দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়। অন্যদিকে, ঘটনার তদন্তের শুরুতেই সন্দেহের বশে তিন রংমিস্ত্রিকে আটক করে পুলিশ। পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে।

আরও পড়ুন- চা, পানের দোকানে গিয়ে বসুন, সরকারি কর্তাদের নির্দেশ মমতার

আরও পড়ুন- বিহারে দু'দিন, ছটপুজোয় বাংলায় তিনদিন ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার

এ বিষয়ে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রঞ্জণ সরকার বলেন, 'হাসপাতাল চত্বরে সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। তা সত্ত্বেও কীভাবে এমনটা হল, তা খতিয়ে দেখুক পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যাঁরা নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে রয়েছেন, এটা তাঁদের গাফিলতি। এমনটা হওয়ার কথা নয়। এটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। যে বা যারা এই কাজ করেছে, তাদের ছাড়া হবে না। আমরা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা দাবি জানাচ্ছি, যে বা যারা এই কাজ করেছে তাদের ক্ষমতা থাকলে প্রকাশ্যে আমাদের সামনে এসে এই কাজ করে দেখাক। রাতের অন্ধকারে এসব করে কী বোঝাতে চাইছে তারা? এটুকু বলতে পারি যে বা যারা এই কাজ করেছে তারা বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে।'

এই ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক যোগসাজশ রয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত নয় পুলিশ। আটক তিনজনকে জেরা করার পাশাপাশি হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, ঘটনার সঙ্গে তাঁরা কোনওভাবেই যুক্ত নন।