সংক্ষিপ্ত
গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার পুলিশ। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে সাতদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিশ।
গৃহবধূকে ধর্ষণের (Rape Case) অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে (East Burdwan) পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম ঝন্টু মুদি। হুগলির আরামবাগ থানার বিশমাইল এলাকায় ধৃতের বাড়ি। শনিবার রাতে বাড়ি থেকে পুলিশ (Police) তাকে গ্রেপ্তার (Arrest) করেছে।
আরও পড়ুন, Partha Chatterjee: 'রাজ্য ব্যবস্থা নেবে', রেশন ও পেট্রোপণ্য ইস্যুতে কী বার্তা পার্থর
ধৃতকে বর্ধমান আদালতে রবিবার পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে সাতদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। ধৃতের চারদিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। হুগলির হরিপাল থানার মশাই মোড় এলাকায় বছর ২৫-র ওই গৃহবধূর বাড়ি। তাঁর প্রথম পক্ষের দু’টি ছেলে আছে। শুক্রবার তিনি দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী ও পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মাধবডিহি থানার কুলডাঙায় দিদির বাড়িতে কালীপুজোয় আসেন। পুজোর পর অনেক রাত পর্যন্ত নাচ–গানের অনুষ্ঠান হয়। তা দেখে গভীর রাতে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন।এসডিপিও দক্ষিণ আমিরুল ইসলাম খান বলেন, রাত দেড়টা নাগাদ তাঁর স্বামী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যান। দীর্ঘক্ষণ না ফেরায় তিনি স্বামীকে খুঁজতে বের হন। রাস্তায় তাঁকে একা পেয়ে ঝন্টু তাঁকে ধর্ষণ করে। এদিকে ঘটনার কথা কাউকে না জানানোর জন্য গৃহবধূকে হুমকি দেয় সে। ঘণ্টাখানেক পর গৃহবধূকে সে ছেড়ে দেয়। বাড়ি ফিরে দিদিকে ঘটনার কথা জানান তিনি। গৃহবধূ নিজেই তাঁর উপর হওয়া অত্যাচারের কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা রুজু করেছে থানা। গৃহবধূর পরনের পোশাক বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
গৃহবধূ এবং ধৃতের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক স্টেট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। প্রসঙ্গত, উৎসবের মাঝে চলতি সপ্তাহেই আরও একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে মালদা জেলার মালতীপুর বিধানসভার চাঁচল-২ ব্লকের গৌড়হন্ড গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। কালীপুজোর রাতে তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল নাবালিকা। তারপর থেকে আর খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ হয়ে যায় তেরো বছরের মেয়েটি। পরিবারের লোকজন সারারাত খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাননি। এদিন সকালে স্থানীয় কয়েকজন প্রাতঃভ্রমণে বেরোলে গ্রামের পুকুরে বিবস্ত্র অবস্থায় নাবালিকার দেহ ভেসে আসতে দেখেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন সেখানে ছুটে যান। চাঁচল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে