সংক্ষিপ্ত

স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল পাড়ার এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে বুধবার এক জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেও মূল অভিযুক্ত পলাতক। 

'অপরাধ' বলতে প্রতিবেশী যুবকের বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান! আর তার জেরেই নাবালিকা ছাত্রীকে চরম শিক্ষা দিতে নারকীয় ঘটনা ঘটিয়ে ফেলল তার প্রতিবেশী। স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল পাড়ার এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে বুধবার এক জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হলেও মূল অভিযুক্ত পলাতক। 

যদিও এখনই কিছু তদন্তের স্বার্থে জানাতে চাননি পুলিশ কর্তারা। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের মাঠপাড়া এলাকায়। মৃত ওই দশম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীর নাম সুমনা খাতুন (নাম পরিবর্তিত)। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীকে স্কুলের সামনে থেকে বাপি শেখ নামের এক যুবক  বাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে পরবর্তীতে বাড়ির কাছে বেহুঁশ অবস্থায় ফেলে পালায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। প্রতিবেশী এক যুবক বন্ধুদের নিয়ে পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে বেহুঁশ করে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে পরিবারের অভিযোগ। 

নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর বাবা বাপি শেখ নামে ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। মূল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঐ নাবালিকা এলাকার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। স্কুলে কিছু কাগজপত্র জমা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল সে।

অভিযোগ, স্কুলছাত্রীকে ধাওয়া করে স্কুলের সামনে বাপি ও তার দুই সঙ্গী তার পথ আটকে তাকে জোর করে বাইকে তুলে নেয়। তারপর কোনও গোপন জায়গায় নিয়ে গিয়ে পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে বেহুঁশ করে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

বাড়ির সদর দরজায় ছোট্ট কিছু পরিবর্তন, ফিরিয়ে দেবে আপনার অর্থ ভাগ্য

Vastu Tips: বেডরুমের এক কোণায় রেখে দিন নুন, সংসারে ফিরবে শান্তি-সমৃদ্ধি

সূর্যের গা থেকে ছিটকে বেরোচ্ছে আগুনের গোলা, ভয়ঙ্কর সুন্দর ভিডিও প্রকাশ করল নাসা

ওই ছাত্রীকে পরে বাড়ির পাশে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। স্থানীয় বাসিন্দারা ও পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরবর্তীতে তার মৃত্যু হয়। যুবতীর শরীরের নিম্নাঙ্গে অত্যধিক রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যু বলেই পরিবারের দাবি।

মৃতার বাবা বলেন, মেয়ে স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। বহু খোঁজাখুঁজির পর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ওকে পাওয়া যায়। মেয়ে সমস্ত ঘটনা আমাদের জানায়। বাপি আগেও রাস্তায় মেয়েকে উত্যক্ত করত। ওকে সাবধান করা হয়েছিল। মেয়েকে জোর করে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল কয়েকদিন ধরে। আমি ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার এই সর্বনাশ করেছে বাপি। বাপি ও তার সাগরেদদের ফাঁসির সাজা চাই"।