সংক্ষিপ্ত

গঙ্গাসাগরে নামলেই কেটে যাচ্ছে হাত-পা। কেউ আবার আঘাত পাচ্ছেন শরীরের অন্যান্য অঙ্গে। গঙ্গা সাগরে চান করতে এসে সম্প্রতি এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে অভিযোগ পুর্ণার্থীরদের।

গঙ্গাসাগরে নামলেই কেটে যাচ্ছে হাত-পা। কেউ আবার আঘাত পাচ্ছেন শরীরের অন্যান্য অঙ্গে। গঙ্গা সাগরে চান করতে এসে সম্প্রতি এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে অভিযোগ পুর্ণার্থীরদের। কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে, স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যুতের খুঁটি ঘাটে পড়ে রয়েছে। তা দেখতে না পেয়েই ঘাটে নেমে একের পর এক পুর্ণ্যার্থীরা আহত হচ্ছেন। এনিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে একটি পরিবার এসেছিল লখনউ থেকে। তার কপিলমুনি মন্দিরের কাছে দুই রাস্তার ঘাটে স্নানে নামেন। ওই পরিবারের পাপিয়া দিনদয়াল নামে এক সদস্যের পা গুরুতরভাবে কেটে যায়। পরে বোঝা যায়,জলের আড়ালে নীচে লুকিয়ে থাকা বিদ্যুৎতের খুঁটিতেই পা কেটে যায়। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেঁড়ে দেন চিকিৎসকরা। তবে এনিয়ে স্থানীয়রা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।

আরও পড়ুন, লিভইনে ছিলেন পল্লবী, রাতে মোমো খেয়ে ছবিও করেন পোস্ট , 'আত্মহত্যা' মানতে নারাজ সহকর্মীরা

তাঁদের অভিযোগ গতবছর ইয়াসের সময় কমিলমুনির আশ্রম ডুবে গিয়েছিল। সেই সময় বেশ কিছু বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যায় স্নানঘাটে। সেগুলি সরানোর জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হলেও তা সরানো হয়নি বলেই অভিযোগ। গঙ্গাসাগর মেলার আঘে সেখানে বালি চাপা দেওয়া হয়েছিল। এখন আার সেই বালি সরে গিয়ে রীতিমত বড়সড় বিপদের আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন, 'মেট্রো রেল দায়ী নয়, তৃণমূলের নেতারাই প্ল্যান বদলে দিয়েছিলেন', বউবাজারকাণ্ডে বিস্ফোরক দিলীপ

প্রসঙ্গত, প্রতিটি বিপর্যয়ে ,সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় সাগর ব্লক। কারণ এই ব্লকটি পুরোপুরি নদী এবং সমুদ্র দিয়ে ঘেরা। এই দ্বীপের অন্যতম তীর্থস্থান কপিল মুনির আশ্রম। বিগত কয়েকটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সমুদ্রতট। ভাঙনের জেরে প্রতিনিয়ত সাগরের জল এগিয়ে এসেছে। মন্দিরে জল ঢুকেছে অনেকবার। তছনছ হয়ে গিয়েছে মন্দিরের আশেপাশের দোকানগুলি। ভাঙন রুখতে না পারলে বিলীন হয়ে যাবে এই মন্দিরও। অস্তিত্ব হারাতে পারে সুপ্রাচীন তীর্থভূমি গঙ্গাসাগার। তাই সমুদ্রতট ভাঙন নিয়ে বিচলিত প্রশাসন।

আরও পড়ুন, 'পার্থকে গ্রেফতার করলেই, মমতা-অভিষেকের নাম বেরিয়ে আসবে', এসএসসি নিয়োগকাণ্ডে বিস্ফোরক শুভেন্দু

ভাঙন রোধে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে প্রায় তিনবছর ধরে। কিন্তু এখনও কেন সেই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হল না, এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে প্রসাশনের অন্দরেই। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবছর গঙ্গাসাগরের ১০০ থেকে ২০০ ফুট এলাকা সমুদ্র গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে গঙ্গাসাগরের ভাঙন ঠেকাতে তৎপর হয় সরকার। গঙ্গাসাগর-বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ এবং রাজ্যের পৌর দফতর যৌথভাবে এই কাজ শুরু করে। ভাঙনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন, স্থানীয় বিধায়ক তথা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। তিনি জানিয়েছেন, গঙ্গাসাগরের ভাঙন রোধে, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেচ ও বন দফতরকে নিয়ে তট রক্ষা করা হবে। প্রশাসনের দাবি রাজ্য পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র এসে গিয়েছে।