সংক্ষিপ্ত
উচ্চ মাধ্যমিকের পর এবার নিটেও সাফল্য রুমানার। এবার 'এইমস' থেকে চিকিৎসক হওয়ার দৌড়ের স্বপ্নপূরণে আপ্লুত রুমানা।
উচ্চ মাধ্যমিকের (HS) পর এবার নিটেও (NEET) সাফল্য রুমানার। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম রুমানা (Rumana Sultana) 'নেট' উত্তীর্ণ হয়ে 'এইমস' থেকে চিকিৎসক হওয়ার দৌড়ের স্বপ্নপূরণে আপ্লুত। উৎসবের মরশুমের মধ্যেই আরোও যেনো বাড়তি আমেজ তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দির হোটেল পাড়া এলাকায়।
। সকলেই এখন মেতে রয়েছে গ্রামের মেয়ে রুমানা সুলতানার সর্বভারতীয় স্তরে 'নেশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট' এর অসামান্য সাফল্যের খুশিতে। উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্টে সবাইকে চমকে দিয়ে ইতিপূর্বে মুর্শিদাবাদের এই কান্দির রুমানা সুলতানা ২০২১ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গে প্রথম স্থান অর্জন করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। তারপর থেকেই সর্বভারতীয় 'ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এনট্রান্স টেস্টে' কে পাখির চোখ করে এগিয়ে যাচ্ছিল গ্রামের মেয়ের রুমানা। তারপরে শিক্ষক দম্পতির রুমানার কপালে নেমে এলো অভূতপূর্ব সাফল্য।'ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এনট্রান্স টেস্টে' তাঁর ব়্যাংক হয়েছে ১,০৫৬। প্রাপ্ত নম্বরের শতাংশের বিচারে ৯৯.৫। তাঁর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত পরিবার থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদের কান্দি পুরএলাকার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের হোটেল পাড়ার বাসিন্দা সকলেই।
কান্দি মণীন্দ্রচন্দ্র গার্লস স্কুলের ছাত্রী সে। বাবা রবিউল আলম ভরতপুরের অচলা বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক। মা সুলতানা পারভীন ভরতপুরের গয়সাবাদ অচলা বিদ্যামন্দিরে শিক্ষিকা। ফলে ছোটবেলা থেকে জ্ঞানার্জনে আগ্রহের একটা পরিবেশ ছিলই। রুমানা নিজেও পড়াশোনা করেছে ভালবেসে, স্রেফ পরীক্ষায় ভাল ফল করার প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব নিয়ে নয়। আর তার ফল পেয়েছে বারবার। এমনকি ২০১৯ সালে মাধ্যমিকেও ৬৮৬ নম্বর পেয়ে রাজ্যের মধ্যে পঞ্চম স্থান দখল করেছিল রুমানা। বিজ্ঞান বিভাগে ভরতি হওয়া ছাত্রীর লক্ষ্য ছিল উচ্চ মাধ্যমিকে আরও ভাল ফল করার। লক্ষ্য পূরণ হয়েছে তার।২০২১ সালে অতিমারী করোনা আবহে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। উচ্চমাধ্যমিকে রুমানা পেয়েছিল পাঁচশোর মধ্যে ৪৯৯। তাঁর রেজাল্ট ঘোষণা করতে গিয়ে সংসদ সভাপতি বলেছিলেন, ”প্রথম হয়েছে রুমানা, প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৯। এক মুসলিম কন্যা।” পরবর্তীতে সংসদ সভাপতির পদ থেকেও সরতে হয়েছিলও মহুয়া দাসকে। এহেন কৃতি ছাত্রী রুমানাকে কেন্দ্র করে সংসদ সভাপতি বিতর্কে জড়ালেনও তাঁকে এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। বরাবরই চুপ ছিলেন তিনি। তাঁর ধ্যান ছিল শুধুমাত্র পড়াশোনা। লক্ষ্য ছিল ডাক্তার হওয়া। সেই দিকেও আর একধাপ এগোলো রুমানা।
এদিকে যাকে নিয়ে এত কথা সেই রুমানা তার অভাবনীয় সাফল্যের বিষয়ে বলে," আমি বরাবরই গবেষণা বিষয়ক ক্ষেত্রে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলাম অথবা চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে ভবিষ্যৎ গড়ার ইচ্ছে ছিল। সেক্ষেত্রে আমি নেটে ভালো ফল করার পরেই আশা করছি এইমস এ থেকে ডাক্তারি সম্পন্ন করতে চাই"।অন্যদিকে মেয়ের এমন সাফল্যের যথেষ্টভাবে খুশি বাবা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম বলেন," মেয়ে বরাবরই নিজের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থেকেছেন সেইমতো সাফল্যও পেয়েছে।আমি চাই ও একজন সমাজের বুকে সু-প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে তুলে ধরুন"। মা সুলতানা পারভীন বলেন," মেয়ের সাফল্যে আমরা অবশ্যই খুশি ও যদি আগামী দিনে চিকিৎসা হিসেবে এই মুর্শিদাবাদ জেলাতে নিজের কর্মজীবন শুরু করতে পারে তাহলে এর চেয়ে ভালো আর কিছু হয়না"।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে