সংক্ষিপ্ত
আসন্ন ভোটে জোটের সমীকরণ নির্ধারণ সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে সোমবার দিল্লি যাওয়ার কথা আছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ত্রিপুরার ঘটনার এবার তার রাজধানী গমণকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলল বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
ত্রিপুরায় সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির(Saioni Ghosh arrested) পর থেকেই উত্তপ্ত বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। সোমবার সকালেই ত্রিপুরা উড়ে যাচ্ছে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এরইমাঝে এবার ত্রিপুরা সঙ্কটের আঁচ জাতীয় রাজনীতিতেও। সূত্রের খবর, শীঘ্রই ত্রিপুরা(Tripura) ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির(President of India) কাছে নালিশ জানাতে পারে তৃণমূল। এদিকে আসন্ন ভোটে জোটের সমীকরণ নির্ধারণ সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে সোমবার দিল্লি যাওয়ার কথা আছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( Mamata Banerjee)। যা নিয়ে চাপানউতর ছিলই রাজনৈতিক মহলে। ত্রিপুরার ঘটনা এবার তার রাজধানী গমণকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলল বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
সূত্রের খবর, ইতিম্যেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে রবিবার রাতেই সব তৃণমূল সাংসদকে(TMC MP) দিল্লিতে(Delhi) পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামীকালই ত্রিপুরা ইস্যু নিয়ে হতে পারে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। এমনকী তারপরেই দিল্লির ময়দানে দাঁড়িয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে সরবও হবে ঘাসফুল শিবিরের রথী-মহারথীরা। তাদের সঙ্গ দেবেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। সংসদীয় কমিটির ওই বৈঠকেই রাষ্ট্রপতির কাছে তৃণমূল ঠিক কি অভিযোগ জানাতে পারে তা ঠিক হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এমনকী রাষ্ট্রপতির কাছে সময় চাওয়ার বিষয়টিও ঠিক হবে সংসদীয় বৈঠকের পরেই, এমনটাই খবর সূত্রের।
আরও পড়ুন-‘সায়নী-কুনালরা বহিরাগত তাই পুলিশ ডেকেছে’, ত্রিপুরা বিতর্কে চাঁচাছোলা আক্রামণ সুকান্তের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী ২৫ তারিখ ত্রিপুরায় রয়েছে পুরসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে কোমর বেঁধে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি আগরতলা পুরসভার দশ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্দ্রনগরে তৃণমূল প্রার্থী পান্না দেবের হয়ে প্রচারে করছিলেন ফিরহাদ হাকিম ও বাবুল সুপ্রিয়। সেখানেও বাঁধে উত্তেজনা। এরপর ত্রিপুরায়(tripura) গিয়েছে সায়নী, কুনালরা। তারাও সেখানে দফায় দফায় পড়েন বিজেপির বাধার মুখে।
আরও পড়ুন-ফের মমতার বিরুদ্ধে কুরুচিকর পোস্ট, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় করেছি, সাফাই ধৃত যুবকের
এদিকে রবিবার আচমকাই সায়নী ঘোষকে গ্রেফতার করে ত্রিপুরা পুলিশ। পুলিশের দাবি, শনিবার রাতে সায়নী ঘোষের গাড়ির ধাক্কায় একজন আহত হয়েছেন। সেই কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও তৃণমূলের দাবি প্রশাসনিক ক্ষমতাকে হাতিয়ার করে হিংসার রাজনীতি করছে বিজেপি। ভুয়ো মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের। যদিও বিজেপির দাবি বহিরাগতের মতো ত্রিপুরায় এসে বলপূর্বক গোল বাঁধানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। এই অভিয়োগ পাল্টা অভিযোগের মাঝে এবার ত্রিপুরা ইস্যু রাষ্ট্রপতির দরবারে পৌঁছলে আগামীতে এর গতিপ্রকৃতি কোনদিকে বাঁক নেয় এখন সেটাই দেখার।