সংক্ষিপ্ত

অনুমতি পাওয়া গেলে, তবেই রাজ্য সরকারের ‘অতিরিক্ত পদ’-এর তালিকা মেনে সকলকে চাকরি দিতে প্রস্তুত এসএসসি, হাইকোর্টে হলফনামা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। 

অপেক্ষারতদের তালিকায় থাকা সকল চাকরিপ্রার্থীকে চাকরি দিতে প্রস্তুত পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেজন্য অতিরিক্ত পদ তৈরিতেও কোনও আপত্তি নেই বলে স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ মামলায় জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিকাশ ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে জানানো হয়েছে, কারোর চাকরি যাওয়াটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একেবারেই চান না। তাই, হাইকোর্টে পেশ করা হলফনামায় দুটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। 

প্রথম প্রস্তাব, যে প্রার্থীরা অপেক্ষারতদের তালিকায় রয়েছেন, তাঁদের সকলকে চাকরি দিতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। সেজন্য ‘অতিরিক্ত পদ’ তৈরি করতে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি নেই। এক্ষেত্রে, বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থীদের বরখাস্ত করা হবে না। দ্বিতীয় প্রস্তাব, যাঁরা ‘ব্যতিক্রমী’ বা আদালতের চোখে যাঁরা ‘বেআইনি’ উপায়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দিতেও রাজি আছে সরকার। সেক্ষেত্রে, শুধুমাত্র মেধাতালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে।

ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, নবম ও দশম শ্রেণিতে বেআইনিভাবে ১৮৩ জন চাকরি পেয়েছেন। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন ৩৯ জন। গ্রুপ 'সি' এবং গ্রুপ 'ডি'-র ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটা হল ৯৫৭। যদিও আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন যে, বাস্তবে চাকরি পাওয়াদের সংখ্যাটা অনেক বেশি। চাকরিপ্রার্থীরা প্রশ্ন তুলেছেন, কলকাতা হাইকোর্ট তো আগেই বলে দিয়েছে যাঁরা দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে। অর্থাৎ দুর্নীতি সামনে এলেই চাকরি কেড়ে নেওয়া হবে। তাহলে কোন যুক্তিতে ‘ব্যতিক্রমী’ বা ‘বেআইনি’ প্রার্থীদের রেখে দিতে চাইছে রাজ্য সরকার? আর অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরিতে রাখা হবে কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের।

২০২২-এর ১ মে ৬,৬৭০ অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছে। এবার আরও ৯,৭১৬ পদ তৈরি করা হচ্ছে। অর্থাৎ শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে মোট ১৬,৩৮৬টি শূন্যপদ তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। নবম ও দশম শ্রেণিতে ৩,০০৯টি, একাদশ ও দ্বাদশে ২,৫৬৮টি, গ্রুপ 'সি'-তে ৩,০৮৩টি, গ্রুপ 'ডি'-তে ৬,৩১৭টি এবং কর্ম ও শারীরশিক্ষায় ১,৪০৯টি নতুন শূন্যপদ তৈরি করা হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘বেআইনিভাবে’ যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তটি আদালতের বিচারের ওপরেই ছেড়ে দিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী। ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী চান না কারও কাজ চলে যাক। কারও কাজ চলে গেলে শুধু তাঁর ক্ষতি নয়, তাঁর পরিবারেও বিপর্যয় নেমে আসে। আবার চান না কোনও যোগ্য প্রার্থী বঞ্চিত হোন। তাই প্রয়োজনে সুপার নিউমেরারি পদ তৈরির ইচ্ছা পোষণ করেছেন।’’

আরও পড়ুন-
দুর্গাপুজোয় প্যাচপ্যাচে কাদা, নাকি কাঠফাটা রোদ্দুর? কবে ঠাকুর দেখতে পারবেন, জেনে নিন আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস
‘সিটি অফ জয়’ থেকে ‘সিটি অফ ড্রিমস’, দুর্গাপুজোর আমেজ স্বপ্নের মুম্বইতেও, জেনে নিন এখানকার পুজোর বিশেষত্বগুলি
কেবলমাত্র কল্লোলিনী কলকাতা নয়, দিলওয়ালো কা দিল্লিতেও দুর্গাপুজো ছাড়িয়েছে একশো বছর, রইল সেরা মণ্ডপগুলির হদিশ