জলস্ফীতি ও নদীর অনিয়মিত প্রবাহের কারণে প্রায় এক হাজার বিঘে ধান জলের তলায়। সেখানে সদ্যই ধান রোপন করা হয়েছিল। তাই সেই জমি জলের তলায় চলে যাওয়ার কারণে প্রচুর ক্ষতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা ।

জলপাগুড়ির ক্রান্তি ব্লকের চেংমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের সিদা বাড়ি এলাকায় আবারও তিস্তার জলে বিপর্যস্ত প্রচুর কৃষক। গত কয়েকদিনের ধারাবাহিক জলস্ফীতি ও নদীর অনিয়মিত প্রবাহের কারণে প্রায় এক হাজার বিঘে ধান জলের তলায়। সেখানে সদ্যই ধান রোপন করা হয়েছিল। তাই সেই জমি জলের তলায় চলে যাওয়ার কারণে প্রচুর ক্ষতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, “বহুবার আবেদন করার পরেও আমরা সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। বিডিও অফিস থেকে শুরু করে মালবাজার কৃষি দপ্তরে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েছি, কিন্তু আজও ফসলের ক্ষতিপূরণ পাইনি।” গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে অনিয়মিতভাবে জল ছাড়ার কারণেই প্রতি বছর একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। “আমাদের জীবিকা একমাত্র কৃষিকাজের উপরেই নির্ভরশীল। এ বছর দুই একর জমিতে ধানের চাষ করেছিলাম। কিন্তু তিস্তার জল ঢুকে সব শেষ। বয়স হয়েছে, অন্য কোনও কাজের সামর্থ্য নেই। সংসারের খরচ কীভাবে চলবে এখন?”

অন্যদিকে, নেউলা বস্তি এলাকায় বর্তমানে ইস্পাতের মেরামতির কাজ চলছে। “যদি সামনের দিকটা সঠিকভাবে মেরামত করা হয়, তাহলে কৃষি জমিগুলো বাঁচানো সম্ভব হবে না”।“রাত হলেই ঘুম উড়ে যাচ্ছে। নদী প্রায় হাফ কিলোমিটার কৃষিজমির দিকে চলে এসেছে। আশঙ্কা করছি, আগামী দিনে জমিগুলো তিস্তায় তলিয়ে যাবে।” কৃষকদের দাবি, অবিলম্বে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হোক এবং নদীর ভাঙন রুখতে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হোক। না হলে ভবিষ্যতে বৃহত্তর কৃষি সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

তিস্তা নদীর জলের স্তর বাড়ছে। পাশাপাশি নদীর পথ পরিবর্তন হচ্ছে বলও মনে করছেন অনেক কৃষক। ঠিক সেই কারণেই তিস্তার জলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ক্রান্তি ব্লক এলাকায়। তাই এলাকার কৃষকদের পরিস্থিতি দিনে দিনে খারাপ হচ্ছে বলেও মনে করছেন স্থানীয়রা।