মানিকচক ব্লকের পর এবার হবিবপুর ব্লকের বিএলও (BLO)-দের তালিকায় মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের দুই সদস্যের নাম । তাদের দুজনেই মধ্যে একজন প্যারা শিক্ষক ও একজন প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক ।
মানিকচক ব্লকের পর এবার হবিবপুর ব্লকের বিএলও (BLO)-দের তালিকায় মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের দুই সদস্যের নাম । তাদের দুজনেই মধ্যে একজন প্যারা শিক্ষক ও একজন প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক । ইতিমধ্যে তৃণমূলের দুইজন জন জনপ্রতিনিধির নাম থাকার অভিযোগ উঠেছে । তাই নাম বাতিলের দাবিতে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব ও নির্বাচন কমিশনকে কাছে অভিযোগ জানিয়েছে উত্তর মালদা সাংগঠনিক বিজেপি নেতৃত্বরা । আর এই ঘটনাই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল শোনা যাচ্ছে ।
তালিকার ২ টিএমসি নেতার
জানা যায় হবিবপুর ব্লকের বিএলও-দের যে তালিকা সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২৪ নম্বর বুথের তৃণমূল সদস্য পেশায় প্যারা শিক্ষক অসীম সরকারের নাম রয়েছে। অন্যদিকে ১২৫ নম্বর বুথে তৃণমূল সদস্য তথা প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক মাতিয়াষ মার্ডি নাম রয়েছে। এরা দুজনেই হবিবপুর বিধানসভার মঙ্গল পুরো গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য ।
বিজেপির অভিযোগ
উত্তর মালদা বিজেপি সভাপতি প্রতাপ সিং জানান নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন মেনে বিএলও নিযুক্ত হওয়ার কথা কিন্তু হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২৪, নম্বর বুথের দেখা যাচ্ছে অসীম সরকার একজন প্যারা টিচার সে আবার তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য । অন্যদিকে মাতিয়াস মারডি সে একজন স্কুলের শিক্ষক তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তা সত্ত্বেও আমাদের অভিযোগ করার পরও তারা এখনো বিএলও নিযুক্ত রয়েছে এখানে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে এখানে মান্যতা দেওয়া হয়নি। এই দুটো নাম যাতে বাদ দেওয়া হয় তার দাবি আমরা করছি তৃণমূল কংগ্রেস স্বচ্ছতা ভোটার লিস্ট তৈরি হোক প্রকৃত ভোটারদের নাম থাকুক সেটা তৃণমূল চাচ্ছেন এখানে সরকারি আধিকারিকরাও তারা যাচ্ছে না
পাল্টা তৃণমূলের কটাক্ষ
এ বিষয়ে হবিবপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন সরকার জানান বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে বলে এরকম অভিযোগ তারা করছে । আমাদের হবিবপুর ব্লকের মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের ১২৪ এবং ১২৫ নম্বর বুথের তৃণমূলের সদস্য অসীম সরকার ও মাতৃযাষ মার্ডি তাদের নাম বি এল লিস্টে এবার আছে। তারা নিরপেক্ষভাবে সবসময় মানুষের পাশে থাকে বিজেপি মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েত আগে তাদের দখলে ছিল এখন বর্তমানে তাদের দখলে নেই যার ফলে তারা খুব দুশ্চিন্তায় পড়েছে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুসারে তারা কাজ করবে যার ফলে বিজেপি সবকিছুতেই রাজনীতি দেখছি আসলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে
