সংক্ষিপ্ত
দুর্গাপুজোর সময় সাধারণ মানুষ যখন আনন্দ-উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে থাকেন, তখন দুষ্কৃতীরা অসতর্কতার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে এই ঘটনা ঘটেছে।
দুর্গাপুজোর সময় মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করাই লক্ষ্য ছিল। ধনী ব্যবসায়ীর জামাইকে অপহরণ করে দাঁও মারার তালে ছিল অপরাধীরা। তারা সেই লক্ষ্যে অনেকদূর এগিয়েও যায়। পঞ্চমীর রাতে ব্যবসায়ীর জামাইকে নরেন্দ্রপুর বাইপাস লাগোয়া এক ধাবায় ডাকা হয়। এরপর তাঁকে রানিয়া অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়। ব্যবসায়ীর বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়, তাঁদের জামাইকে অপহরণ করা হয়েছে। তাঁকে ছাড়ানোর জন্য ১১ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। এরপর পুলিশে খবর দেন ব্যবসায়ী। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখে রানিয়া অঞ্চল থেকেই অপহৃত যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে কী অবস্থায় রাখা হয়েছিল, সে বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। উদ্ধার করার পর এই যুবককে প্রথমে সুভাষগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কলকাতার এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতরা অতীতে খুন, চুরি, ছিনতাই, অপহরণের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলাও ঝুলছে। ধৃতদের বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে পুলিশ।
ঠিক কী হয়েছিল?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রোমোটিংয়ের সঙ্গে ওই ব্যবসায়ী বেশ প্রভাবশালী। তাঁর কাছ থেকেই মোটা টাকা আদায়ের ছক কষেছিল দাগী অপরাধীরা। তারা নিজেদের ছক অনুযায়ী ব্যবসায়ীর জামাইকে ধাবায় ডাকে। তাঁর সঙ্গে কোনও এক বিষয়ে আলোচনার জন্য ডাকা হয়। এরপর তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারল না দুষ্কৃতীরা। ব্যবসায়ীর অভিযোগ পেয়ে তৎপরতার সঙ্গে তাঁর জামাইকে উদ্ধার করল পুলিশ।
তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিএসপি (অপরাধ) ফয়জল বিন আহমেদ জানিয়েছেন, 'তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।'
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
কোচিং থেকে ফেরার পথে কিশোরীকে অপহরণ, শ্লীলতাহানি ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ হুগলিতে
Pakistan: ভারতীয়দের অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, তুরস্ক-কম্বোডিয়ায় গ্রেফতার ৫ পাকিস্তানি