তাঁদের গাড়িটি পশ্চিম মেদিনীপুর হয়ে হুগলির দিকে গিয়েছিল। সেখান থেকে একজন গাড়িতে ওঠার পর গাডিটি যাচ্ছিল ঝাড়খণ্ডের দিকে। আনুমানিক রাত দেড়টা নাগাদ গাড়িটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে লরির , সেই মুহুর্তে পিছন থেকে আরও একটি গাড়ি ধাক্কা দিতেই এতবড় ঘটনা।
কুম্ভে যাওয়া আর হল না। রাস্তাতেই দুর্ঘটনায় চলে গেল বাংলার ৬ পুণ্যার্থীর প্রাণ। জাতীয় সড়কে লরির ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে দলা পাকিয়ে যায় গাড়িটি। জানা গেছে , দুর্ঘটনায় আহত আরও ৫ জন। আহতদের মধ্যে কয়েকজন আশঙ্কাজনক বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খন্ডের ধানবাদের জিটি রোডে রাজগঞ্জের ডালুডিহের কাছে জাতীয় সড়কের উপরে। আহতদের এসএনএমএমসিএইচ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। মৃতদের সকলেই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলেই জানিয়েছেন ঝাড়খন্ড সরকার।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার পুণ্যার্থীরা গাড়ি করে মহাকুম্ভে যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন ৷ আনুমানিক রাত দেড়টা নাগাদ এন এইচ ১৯ (NH 19) -এ রাজগঞ্জ থানা এলাকার ডালুডিহের কাছে একটি ট্রাকের সঙ্গে স্করপিও গাড়িটির সংঘর্ষ হতেই একেবারে দুমড়েমুচড়ে যায় গাড়িটি। জানা যায়, এসময় ওই স্করপিওটিকে পিছন থেকে আসা আরও একটি গাড়িও ধাক্কা মারতেই দুর্ঘটনার পরিধি আরও বাড়ে। গাড়ির চালক সহ প্রাণ হারালেন বাংলার ৬ পুণ্যার্থী। আহত আর সকলে। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে প্রণব সাহা, স্ত্রী শ্যামলী সাহা, শালি পিয়ালি সাহা, গাড়ির চালক শেখ রজন আলি, আরও দুই নাবালক নাবালিকার। এর মধ্যে হুগলির বাসিন্দা শেখ রজন ও পিয়ালি সাহা । বাকিরা পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতাল বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, তাঁদের গাড়িটি পশ্চিম মেদিনীপুর হয়ে হুগলির দিকে গিয়েছিল। সেখান থেকে একজন গাড়িতে ওঠার পর গাডিটি যাচ্ছিল ঝাড়খণ্ডের দিকে। আনুমানিক রাত দেড়টা নাগাদ গাড়িটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে লরির , সেই মুহুর্তে পিছন থেকে আরও একটি গাড়ি ধাক্কা দিতেই এতবড় ঘটনা। মহাকুম্ভে যাওয়ার পথে ঝাড়খণ্ডে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী হতভাগ্য পরিবারের পাশে থাকার জন্য। প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহ আপাতত হাসপাতালে রাখা রয়েছে। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে পৌঁছলে দেহ তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
