সংক্ষিপ্ত
দেড় বছর আগেই সন্দীপের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার! কেন কোনও মাথায় ঘামায়নি রাজ্য? উঠল প্রশ্ন
আরজিকরের চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনে বারাবার নাম আসছে প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের। এ প্রসঙ্গে এবার মন্তব্য করলেন
সর্বভারতীয় ফেডারেশন গভর্নমেন্ট ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারি সুবর্ণ গোস্বামী।
বোলপুরের মিছিল থেকে চিকিৎসক গোস্বামী বলেন, "শাসক দলের মদতেই আরজি করের সমস্ত প্রমাণ লোপাট হয়েছে। অভিযুক্তদের আড়াল করার ঘৃণ্য চেষ্টা চলছে। মৃত্যুর পরে বাড়ির লোককে জানান হয় যে তরুণী আত্মহত্যা করেছে শুধু তাই নয়, ডেকে আনার প্রায় তিন ঘণ্টা তাঁদের অপেক্ষা করা হয়েছিল। মৃতদেহ পর্যন্ত দেখতে দেওয়া হয়নি। "
এ ছাড়াও তিনি বলেন, " সন্দীপ ঘোষ আর তার অনুসারীরা আর শাসকদলের কিছু নেতা শলাপরামর্শ করে পুরো ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করেছেন। অনুগামীদের নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয় যাতে রিপোর্টে গড়মিল করা যায়। কোনও নিয়ম মানা হয়নি। একের পর এক বিভ্রান্তির সৃষ্টি করা হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে সুবর্ণ গোস্বামী জানান, সংস্কারের নামে ভেঙে দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থল। এ ছাড়া ১৪ তারিখ রাত্রে আরজিকরে হামলা করিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয় এর সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ।
প্রায় দেড় বছর আগে প্রিন্সিপালকে নিয়ে একটি অভিযোগ করেন আর জি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি । এবার এই অভিযোগেই ফের খতিয়ে দেখবে সিবিআই। তবে তা সম্পূর্ণ ভাবে হাইকোর্টের নির্দেশে। এক্ষেত্রে সিটের আর কোনও মান্যতা থাকবে না। কিন্তু কেন এতদিন এই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করেনি রাজ্য সরকার তা নিয়ে থেকে গিয়েছে বিশাল প্রশ্ন।
প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছিলেন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। সেগুলি হল
মেডিক্যাল বর্জ্যের ক্ষেত্রে অনিয়ম।
বেওয়ারিশ লাশ বেসরকারি সংস্থায় বেচে দেওয়া।
ছাত্রছাত্রীদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে টাকা নেওয়া।
কিন্তু দেড় বছর আগে অভিযোগ জমা পড়লেও এই ঘটনা নিয়ে বিন্দুমাত্র মাথা ঘামায়নি রাজ্য সরকার।