সংক্ষিপ্ত
উত্তরবঙ্গে চলছে তৃণমূলের সরাসরি জনসংযোগ কর্মসূচি ‘তৃণমূলে নব জোয়ার’, মানুষের সাথে দিনে জনসংযোগের পর রাতে তাঁবুতেই রাত্রিবাস করছেন অভিষেক। কী কী থাকছে এই তাঁবুগুলির ভিতর?
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাংলার গ্রামের মানুষের সঙ্গে তৃণমূলের সরাসরি জনসংযোগ কর্মসূচি ‘তৃণমূলে নব জোয়ার’। দলের হয়ে হাল ধরেছেন স্বয়ং সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন দিনের সফরে কোচবিহারে গিয়েছেন অভিষেক। বিশেষ তাঁবুতে রাত্রিবাস করছেন নেতা। সোমবার হেলিকপ্টারে চড়ে কোচবিহারে এবিএনশীল কলেজের মাঠে নেমে হেঁটে মদনমোহন মন্দিরে গেছেন তিনি। রাতে বামনহাটে থাকার পর মঙ্গলবার মাথাভাঙার কলেজ মাঠে ও বুধবার তুফানগঞ্জের মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে রাত্রিযাপন করবেন অভিষেক। তাঁর রাত্রিযাপন করার জন্য যে বিশেষ তাঁবুগুলির আয়োজন করা হয়েছে, সেগুলির বিলাসবাহুল্য নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কোচবিহারের পর আলিপুরদুয়ারে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কর্মসূচিতে যোগ দেবেন ঘাসফুল শিবিরের ৬৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য ও দলীয় পদাধিকারীরা। তুফানগঞ্জের ময়দানে ৩০ ফুট বাই ২০ ফুট চওড়া, ১৮ ফুট উঁচু ছাউনি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভিআইপি লাউঞ্জ, যার ভিতরে থাকবে ৬টি এসি। রয়েছে বিশেষ শৌচাগারের ব্যবস্থাও। রাতে তাঁবুতেই থাকছেন অভিষেক। তাঁর রান্নাবান্নার দায়িত্বে রয়েছেন ব্যক্তিগত রাঁধুনি। দিনের বেলা জনসংযোগ করে রাতে তাঁবুতে থাকছেন অভিষেক, অন্যান্য তৃণমূল কর্মীদের জন্যেও থাকছে উন্নত মানের তাঁবুর ব্যবস্থা। ১০ ফুট বাই ৩০ ফুটের এই তাঁবুগুলিতে থাকছে ক্যাম্প খাট, বসার জায়গা, গদি ও মাদুর। জনসংযোগের জন্য শাসকদলের এই তাঁবুর পরিকল্পনা কেন?
পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল মনে করছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামের মানুষের সাথে সরাসরি কথা বলা ও দীর্ঘকালীন সময় কাটানোটা খুব জরুরি। গ্রামের মধ্যেই তাঁবুতে বসবাস করলে মানুষের সঙ্গে সংযোগ রাখাটা সহজ হবে। দীর্ঘ সময় ধরে গ্রামে বসবাস করলে এলাকার স্বাভাবিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অবগত হওয়া যাবে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে স্বয়ং গিয়ে পৌঁছে গেলে একেবারে বুথ স্তর থেকে দলের সংগঠন মজবুত করা যাবে। তাই ‘তৃণমূলে নব জোয়ার’ যে দলের নড়বড়ে ভিতকে সাংগঠনিকভাবে মজবুত করে তুলবে, সেই উদ্দেশ্যকে মাথায় রেখেই এই অভিনব কর্মসূচিতে নেমেছেন দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
যদিও, অভিষেকের এই ‘মেগা ক্যাম্পেন’ কর্মসূচিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার সঙ্গে তুলনা করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। শনিবার তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি অভিষেকের কর্মসূচিকে উল্লেখ করে বলেন, “আমি দীর্ঘদিন রাজনীতি করি। আমি জানি কেন মমতা অভিষেককে দিয়ে এই সব জনসংযোগ যাত্রা করাচ্ছেন। এটা প্লট তৈরি করা হল, সুপ্রিম কোর্টে অভিষেকের আইনজীবী যাতে বলার সুযোগ পান, হুজুর এখন উনি প্রচারে ব্যস্ত আছেন ২ মাস আসবেন না। কারণ মমতা জানেন সুপ্রিম কোর্টে হয়ত আর স্বস্তি হবে না। সুতরাং সিবিআই যাতে শান্তনু কুন্তলের সঙ্গে অভিষেককে মুখোমুখি না বসায় তার জন্য সময় চাওয়ার কৌশল।”
আরও পড়ুন-
রাস্তা দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হল কালিয়াগঞ্জের নির্যাতিতার দেহ, বরখাস্ত করা হল ৪ পুলিশ অফিসারকে
পর পর ৩ দিন ধরে নিম্নমুখী সোনা-রুপোর দাম, দেখে নিন মঙ্গলবারের লেটেস্ট আপডেট