- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- ডানকুনির ২২ গজ ঘিরে রাখল লাল জনতা, মীনাক্ষীর সভা শুনতে ছাদের উপর উঠলেন ৮ থেকে ৮০
ডানকুনির ২২ গজ ঘিরে রাখল লাল জনতা, মীনাক্ষীর সভা শুনতে ছাদের উপর উঠলেন ৮ থেকে ৮০
হুগলির ডানকুনি যেন আক্ষরিক অর্থেই মঙ্গলবার ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।

গত ২২ তারিখ থেকে শুরু হয়েছিল সিপিএম-এর রাজ্য সম্মেলন
আর শেষদিন ছিল মঙ্গলবার, অর্থাৎ ২৫ ফেব্রুয়ারি (CPIM 27th West Bengal State Conference)।
পুনরায় সম্পাদক সেলিম (Md Salim)
আর হুগলির ডানকুনিতে ২৭ তম রাজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে সর্বসম্মতিক্রমে পুনরায় সিপিএম রাজ্য কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হলেন মহম্মদ সেলিম।
সম্মেলন শেষে ডানকুনি স্পোর্টিং ফুটবল ময়দানে ছিল প্রকাশ্য সমাবেশ
যেখানে বক্তা ছিলেন প্রকাশ কারাত, দেবলীনা হেমব্রম, মহম্মদ সেলিম এবং মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।
তবে এদিনের সভার অন্যতম আকর্ষণ ছিলেন যেন মীনাক্ষীই
তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য মাঠের পাশেই একটি বাড়ির ছাদে উঠে পড়েন অনেকে।
সমাবেশ স্থলের মাঝখানটি খালি রাখা হয়
কানায় কানায় পূর্ণ এই জনসভায় যেন সেই ২২ গজকে ঘিরে রেখেছিল লাল জনতা।
এদিন জনসভায় কার্যত, আগুনে মেজাজে ছিলেন মীনাক্ষী
তিনি বলেন, “দালাল পুলিশ, আর তৃণমূল-বিজেপিকে বলছি! তোমাদের কথা আর মানুষ শুনছে না। আমাদের মাঠ বড় হচ্ছে। আর সেই মাঠে দাঁড়িয়ে থেকেই লড়াই হবে চোখে চোখ রেখে। রাজ্যে এমন একটা সরকার চলছে, যারা চোর আর দুর্নীতিবাজদের চারপাশে ঘোরাফেরা করে।” তাঁর বক্তব্য শুনে রীতিমতো স্লোগান এবং হাততালির বন্যা বয়ে যায়।
অন্যদিকে, সেলিম কী বললেন?
সেক্রেটারির কথায়, “বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে কী তফাৎ আছে? একটা মেয়ে খুন হল, নির্যাতিতা হল, একজন ডাক্তার খুন হল! রাজ্যের মা-বোনদেরকে রাস্তায় নামতে হল। আমরা বললাম নাটক ছেড়ে বিচার করো, আরজি করের মাথা ধরো। আরজি করের মাথা অনেকদূর, নবান্ন পর্যন্ত আছে। কাটমানির রাজত্ব চলছে। এক মাঘে শীত যায়না, লড়াই জারি রাখতে হবে।”
বাম নেত্রী দেবলীনা হেমব্রম বলেন, “আমাদের উপর শোষণ চলছে”
তৃণমূল এবং বিজেপিকে বিঁধে তাঁর বক্তব্য, “ওরা ফুটানি করছে। আমাদের অধিকার আমরা পাবোনা কেন? ওদের জমিদারি বটে সবকিছু? আপনারা শপথ নেবেন।”
বামেদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রকাশ কারাত সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিষয়টি উল্লেখ করেন
সেইসঙ্গে, গোটা দেশের আন্দোলন এবং চ্যালেঞ্জের কথাও তিনি বলেন।
কিন্তু এদিন বাম কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো
বাস, ম্যাটাডোর, গাড়ি, বাইক এবং ট্রেকারে করে আসতে থাকেন তারা।
অনেকে আবার বাসে বসে ভাগ করে ঝালমুড়িও খেতে থাকেন
সবমিলিয়ে, সিপিএম-এর সমাবেশ মানেই যেন একাধিক মুহূর্ত।
অন্যদিকে, সমাবেশ শেষ হতেই ছুটলেন সেলিম-মীনাক্ষী
চন্দননগরের নিহত তরুণী সুতন্দ্রা চ্যাটার্জির বাড়িতে, পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পৌঁছে যান তারা।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।