সংক্ষিপ্ত

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রের খবর কয়লার অবৈধ কারবারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন শেখ শাহজাহান। তেই প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে।

সন্দেশখালির শেখ শাহজাহানের ক্ষেত্রে খেটে যায় কেঁচো খুড়তে কেউটে প্রবাদ। কারণ রেশন কেলেঙ্কারির তদন্তে গত ফেব্রুয়ারি তাঁর সন্দেশখালির বাড়িতে হানা দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তারপরই প্রকাশ্যে আসে সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা শাহজাহান কুকীর্তির কথা। জমি, বাড়ি, মাছের ভেড়ি দখল করার অভিযোগ একে একে প্রকাশ্যে আসতে থাকে। সেই সময়ই শাহজাহানের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগও ওঠে। মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতনক করত বলেও সরব হয় স্থানীয়রা। এবার কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি রেশন দুর্নীতির মতই শাহজাহান জড়িয়ে রয়েছে কয়লার অবৈধ কাবারের সঙ্গেও।

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রের খবর কয়লার অবৈধ কারবারের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন শেখ শাহজাহান। তেই প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে। শাহজাহান ও তার সাগরেদরা কয়লার থেকে তোলা আদায় করত। এলাকার কয়লা ব্যবসায়ীদের থেকে শাহজাহানরা কর হিসেবে ওই টাকা আদায় করত। ইডি আদালতে পেশ করা চার্জশিটে তেমনই দাবি করেছে। কয়লার অবৈধ কারবারের পাশাপাশি এলাকায় জমি সংক্রান্ত যে কোনও লেনদেন থেকেও অবৈধভাবে তোলা আদায় করত।

ইডি-র পেশ করা চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে শেখ সাবিনা ফিশার সাপ্লায়ার, শেখ সাবিনা মাছের আড়ত এই দুটি সংস্থার মাধ্যমে দুর্নীতি করত। শাহজাহান, শুধুমাত্র দুর্নীতি করেই ২১৬ কোটি টাকা আয় করেছিল। ইডি সূত্রের খবর মাছের ভেড়, জমি দখলের পর সবথেকে বেশি টাকা আয় করেছিল কয়লার অবৈধ কারবার থেকে। ইডি সূত্রে দাবি করা হয়ছে, এলাকার মানুষকে ভয় দেখাত শাহজাহান আর তার সাগরেদরা। যে কোনও জিনিস কেড়ে নিত। তবে শাহজাহানদের ব্যাপারে পুলিশ ছিল পুরোপুরি নিস্ক্রীয়। ইডির আরও দাবি করেছে, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের খুব ঘনিষ্ট হিসেবেই পরিচিত ছিল শাহজাহানরা। তাই সেই কারণে মন্ত্রীর হাত মাথার ওপর থাকায় পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিত না। এলাকায় রীতিমত সন্ত্রাসরাজ কায়েম করেছিল শাহজাহান আর তার দলবল। ইতিমধ্যেই ইডি কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।