সংক্ষিপ্ত

মালদহের মোথাবাড়িতে হিন্দু পাড়ায় 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাইকে করে এসে যুবকেরা এই স্লোগান দেয় ও হিন্দুদের প্রতি অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। 

মোথাবাড়ি তাঁতীপাড়া এলাকার উত্তেজনাক খবর সকলের জানা। সারা উত্তাল এই ঘটনায়। বর্তমানে পরিস্থিতি একটা ভয়ঙ্কর হয়ে গিয়েছে যে বাংলার মাটিতে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ ধ্বনি উঠেছে।

সেখানের এক মহিলা অভিযোগ করেছেন, তিনজন যুবক বাইকে করে এসে হিন্দু পাড়ায় ওপর দিয়ে যেতে যেতেই চিৎকার করে বলতে শুরু করে পাকিস্তান জিন্দাবাদ। বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে একজন যুবকের এমন আচরণে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। একই সঙ্গে অকথ্য ভাষায় হিন্দুদের আঘাত করার কথাও বলা হয়।

জানা গিয়েছে, মোথাবাড়ির হিংসার ঘটনার পর থেকেই ইচ্ছাকৃতভাব হিন্দু পাড়ায় গিয়ে, ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলে শ্লোগান দেওয়া শুরু করেছে কয়েকজন যুবক। স্থানীয় ওই মহিলার অভিযোগ ছোট বড় সবার মুখেই এই একই শ্লোগান। অভিযোগকারী ওই মহিলা জানিয়েছে ওই সমস্ত যুবকদের বেশিরভাগেই বয়স ২০ থেকে ৩০ আশেপাশে।

মোথাবাড়ির অশান্তির প্রায় এক সপ্তাহ পার করেছে। এখনও সেখানের পরিবেশ থমথমে। রাস্তায় বের হতে ভয় পাচ্ছেন সকলে। মোতায়েন আছে পুলিশ। পুলিশ বারে বারে টহল দিচ্ছে।

কিন্তু, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সেখানের মহিলারা। এক মহিলা দাবি করেন, শাঁখা পলা খুলে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে ঘুরতে বলা হচ্ছে তাঁদের। মহিলারা মোর্চার সভানেত্রীর অভিযোগ রাতের বেলা লুকিয়ে থেকে অত্যাচার করা হচ্ছে, হিন্দুদের বাড়িতে ঢিল ছোঁড়া হচ্ছে। এই ঘটনায় সরাসরি মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন সেখানের বাসীন্দারা। দিনের পর দিন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকা মহিলারা পুলিশের বিরুদ্ধে গলা তুলেছেন। তেমনই তাঁদের কেন শাঁখা পলা খুলে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে ঘুরতে বলা হচ্ছে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। বিজেরি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি একটি পোস্ট করেন। তিনি ক্যাপশনে লেখেন, 'মারাত্মক অভিযোগ। হিন্দু মহিলারা শাঁখা পলা পরতে পারবেন না?' এরই মাসে আবার উঠন পাকিস্তান জিন্দাবাদ ধ্বনি। যা নিয়ে বিতর্ক চলছে।