All India Trinamool Congress: তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার আলিপুরদুয়ারে তেমনই এক ঘটনা দেখা গেল।

DID YOU
KNOW
?
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। প্রাক্তন ও বর্তমান ব্লক সভাপতির কোন্দল প্রকাশ্যে।

Alipurduar News: মোমবাতি, ধূপ, ধুনো জ্বালা হয়েছে। মেঝেতে গোবর লেপে দেওয়া হয়েছে। একঝলকে দেখে মনে হতে পারে পুজো হচ্ছে। কিন্তু আসলে এভাবে 'শুদ্ধিকরণ' করা হল। ঘটনাস্থল আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের (All India Trinamool Congress) দলীয় দফতর। প্রাক্তন ও বর্তমান ব্লক সভাপতির দ্বন্দ্বের ফলেই এই কাণ্ড দেখা গেল। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে (2019 Indian general election) ভরাডুবির পর কুমারগ্রামে ব্লক সভাপতি হিসেবে দলের হাল ধরেন ধীরেশ চন্দ্র রায়। সেই সময় চাপে পড়ে গিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল। এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। এই কারণে শাসক দলের ব্লক সভাপতিও বদল করা হয়েছে। ধীরেশের বদলে নতুন ব্লক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুদয় নার্জিনারিকে। এরপরেই দলীয় দফতরে এই কাণ্ড দেখা গেল।

প্রাক্তন ও বর্তমান ব্লক সভাপতির রেষারেষি

ব্লক সভাপতি পদ হারানোর পর কুমারগ্রাম ব্লকের ঘোড়ামারা চৌপথিতে নিজের হাতে তৈরি করা দলীয় কার্যালয় থেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্যবস্থা করা সব আসবাব-সহ বাকি সামগ্রী ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন ধীরেশ। এরপরেই ফাঁকা পার্টি অফিসকে জল দিয়ে ধুয়ে, গোবর লেপে, ধূপ-ধুনোয় 'শুদ্ধিকরণ' করলেন বর্তমান ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মীরা। শাসক দলের অন্দরের এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ২০১৯ সালে ব্লক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর ধীরেশ দলীয় কার্যালয়ে আসবাবপত্র, টেবল-চেয়ার, প্রয়োজনীয় সমস্ত সামগ্রী থেকে ইন্টারনেট ব্রড-ব্যান্ড লাইন-সহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু গত ২৬ আগষ্ট ধীরেশকে সরিয়ে ব্লক সভাপতি হিসেবে সুদয়কে দায়িত্ব দেয় দল। অভিযোগ, তারপর থেকেই প্রাক্তন ও বর্তমান গোষ্ঠীর মধ্যেই কোন্দল লেগেই রয়েছে। অভিযোগ, নতুন কমিটি এসে ভেঙে ফেলেছে পার্টি অফিস ঘরের টেবলের ড্রয়ার। এমনকী, ভবনের নামের বোর্ড পর্যন্ত খুলে ফেলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পার্টি অফিস ফাঁকা করে নিজের সময়ের সমস্ত আসবাবপত্র তুলে নিয়ে গেলেন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি। এমনকী, ইন্টারনেট ব্রড-ব্যান্ডও খুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এরপর কুমারগ্রামের বর্তমান ব্লক সভাপতির অনুগামীরা ফাঁকা পার্টি অফিস ধুয়ে-মুছে, গোবর লেপে, ধূপ-ধুনো দিয়ে 'শুদ্ধিকরণ' করলেন।

তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপি-র

এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও বলেছেন, 'ক্ষমতায় থাকলে এরা বাবাকেও ছাড়ে না। মানুষ এসব কাণ্ড দেখে বিরক্ত। কয়েক মাসের মধ্যেই দেখবেন তৃণমূলের অস্তিত্ব থাকবে না। পুরো সাফ হয়ে যাবে। তখন মানুষ এই জায়গাগুলো গঙ্গাজল, গোবর জল দিয়ে পরিষ্কার করবে।'

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।