ডিসেম্বরে পর্যটকদের ভিড় বাড়ার আশঙ্কায় দিঘা, মন্দারমনি ও তাজপুরে নিরাপত্তা জোরদার করছে প্রশাসন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং অপরাধী শনাক্ত করতে, হোটেলগুলিকে সমস্ত পর্যটকদের তথ্য একটি বিশেষ পুলিশ পোর্টালে আপলোড করার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নভেম্বর পড়তে না পড়তেই বাড়তে শুরু করেছে ভিড়। তাই ডিসেম্বরে পর্যটকদের ঢল নামার আশা করছেন দিঘার পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আর এই ভিড়ের সময় অপ্রীতিকর পরিস্থিত এড়াতে এবার আগে থেকেই সতর্ক হল প্রশাসন। নিরাপত্তায় বাড়তি নজর দিচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন। দিঘা, মন্দারমনি, তাজপুরের মতো পর্যটন কেন্দ্রের দিকে নজর দিচ্ছে প্রশাসন। এবার এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করতে সদ্য হোটেল সংগঠনগুলোকে পর্যটকদের তথ্য নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, প্রশাসনের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও পর্যটকদের নাম ও তথ্য পুলিশের বিশেষ পোর্টালে আপলোড করছেন না হোটেল কর্তৃপক্ষ।
সদ্য হোটেল সংগঠনগুলোকে নিয়ে একটি বৈঠক হয় ট্যুরিস্ট সার্ভিস ট্যাক্স ও পুলিশ পোর্টালে পর্যটকদের তথ্য নথিভুক্ত করার বিষয়। ফের বড়দিনের আগে বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে। গত এপ্রিলে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের পর দিঘায় পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। করোনার আগে ৪০-৫০ লক্ষ পর্যটক দিঘায় আসত। সেটা বর্তমানে ৯০ হাজারে পরিণত হয়। জানা যাচ্ছে এবার সে লক্ষ্যা ১ কোটিতে পৌঁছাবে।
মন্দির ট্রাস্টি কমিটির সদস্য রাধারমণ দাস বলেন, দেশের পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকরাও আসছেন মন্দির দেখতে। ভিড়ের সুযোগে অপরাধ ঠেকাতে দিঘা সমেত তিন পর্যটনকেন্দ্রের নিরাপত্তায় বিশেষ নজর দিয়েছে প্রশাসন।
ডিএসপ আবুনুর হোসেন বলেন, আগেই দিঘা থানাকে ভেঘে দিঘা মোহনা কোল্টার থানা তৈরি করা হয়েছিল। এবার গিঘা থানাকে আইসি থানার উন্নীত করা হয়েছে। হোটেলে আসা পর্যটকদের তথ্য পুলিশ পোর্টালে দেওয়ার হয়েছে। এর ফরে ভিড়ের সময় কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তা তদন্ত করা সুবিধা হবে। তেমনই অপরাধীকে সহজে চিহ্নিত করা যাবে। ফলে এবা থেকে পর্যটকদের সমস্ত তথ্য আপলোড করতে হবে পুলিশের পোর্টালে। এমনই কড়া নির্দেশ দিল প্রশাসন


