সংক্ষিপ্ত
"বেডে বেঁধে পায়ু সঙ্গম, ভয়াবহ নির্যাতন"! আরজিকরের শুনানিতে উঠে এল আরও এক নির্যাতিতার নাম
আরজিকরের শুনানিতে উঠে এল আরও এক নির্যাতিতার নাম। নির্যাতনের ধাক্কায় ভেজিটেটিভ স্টেটে চলে যান অরুণা শানবাগ। তারপরেও প্রায় চার দশক বেঁচে ছিলেন অরুণা। শেষমেশ নিউমোনিয়ার কারণে প্রাণ হারান অরুণা।
মঙ্গলবার আরজিকরের শুনানিতে উঠে আসে এই শানবাগের কথা। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ই অরুণার নাম।
কর্তব্যরত অবস্থাতেই ভয়ঙ্কর নির্যাতনের শিকার হন অরুণা শানবাগ। ভয়ঙ্কর নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন অরুণা তারপরেও বেঁচে ছিলেন প্রায় চার দশক।
১৯৬৭ সালে মুম্বইয়ের কে ই এম হাসপাতালে সারাজরি বিভাগে নার্স ছিলেন তিনি। মাত্র ২৫ বছর বস ছিল তখন তাঁর। ওই হাসপাতালেরই এক চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁর বাগদানও হয়ে গিয়েছিল। ১৯৭৪ সালে হওয়ার কথা ছিল বিয়ে। কিন্তু তার আগেই ভয়াবহ ঘটনা ঘটে অরুণার সঙ্গে।
সোহনলাল বাল্মিকী নামের এক ওয়ার্ড বয় অরুণাকে ভয়াবহ ভাবে ধর্ষণ করে। বেডে বেঁধে তাঁর সঙ্গে পায়ু সঙ্গম করা হয়। এরপর কুকুরের বেল্ট দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা চেষ্টা করা হয়।
কিন্তু তারপরেও কোনও মতে প্রাণ থাকে এরুণার। কিন্তু মস্তিষ্ক ভয়াবহ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্যারাসিট্যান্ট ভেজিটেটিভ স্টেজে চলে যান অরুণা। ওই অবস্থাতেই প্রায় ৪২ বছর বেঁচে ছিলেন তিনি। অবশেষে ২০২৫ সালে মারা যান তিনি।
বহুদিন পর্যন্ত বিছানায় ছিলেন নির্যাতিতা। কথা পর্যন্ত বলতে পারতেন না। কোনও মতে তাঁকে জোর করে খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল।
২০১১ সালে পিঙ্কি ভিরানি নামে এক সাংবাদিক সুপ্রিম কোর্টে অরুণাকে যাতে স্বেচ্ছামৃত্যু দেওয়া হয় তা নিয়ে একটি মামলা রুজু করেন। এই নিয়ে একটি বইও রয়েছে এই সাংবাদিকের। সেখান থেকেই জানা যায় যে হাসপাতালে খাবার চুরি করত ওই ওয়ার্ডবয় তা বারণ করতে গিয়েই এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটে অরুণার সঙ্গে। আজ এত বছর পরে আরজিকরের এই ঘটনা। ফের মনে করিয়ে দিল অরুণাকে।