সংক্ষিপ্ত
গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা হাত ঘুরিয়ে সাদা করতেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর প্রধান মদতদাতা হিসেবে কাজ করতেন মণীশ কোঠারি, এমনই জানতে পেরেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
গরু পাচার কাণ্ডে ১১ দিনের ইডি হেফাজতে রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর পরেই গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। তাঁকেও ৬ দিনের ইদি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির আদালত। মণীশ কোঠারি অনুব্রত মণ্ডলের আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে সব জানতেন এবং তিনি নিজেও অনুব্রতর হয়ে টাকা নিয়েছিলেন, এই সন্দেহে তাঁকে অনুব্রত মণ্ডলের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই জিজ্ঞাসাবাদেই ফাঁস হয়ে চলেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, গরু পাচারের টাকা ঠিক কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করলে সহজে ধরা পড়বে না, সেসব ফন্দি আঁটতেন হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি নিজেই। তিনিই অনুব্রত মণ্ডলকে বিনিয়োগ করার বুদ্ধি দিতেন। কয়েকশো কোটি কালো টাকা কোন উপায়ে সাদা করা যাবে, সেই পথ বাতলে দিতেন মণীশ। তিনিই এই বিষয়টি বুঝিয়েছিলেন যে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা IPL ভারতের একটি উঁচু দরের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এতে টাকা বিনিয়োগ করলে তার কারচুপি সহজে ধরা পড়বে না।
এভাবেই গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা হাত ঘুরিয়ে সাদা করতেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর প্রধান মদতদাতা হিসেবে কাজ করতেন মণীশ কোঠারি, এমনই জানতে পেরেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুধু আইপিএল-ই নয়। একের পর এক ভুয়ো কোম্পানি খুলে সেখানেও টাকা বিনিয়োগ করে কালো টাকা সাদা করানোর পরামর্শ দিতেন মণীশ। তাঁর সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলকে মুখোমুখি বসিয়ে একটানা ম্যারাথন জেরায় আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের হয়ে আসবে বলে আশা করছেন দিল্লির দুঁদে গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন-
গ্রেফতার হওয়ার আগে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় কি জলপাইগুড়ির তৃণমূল নেতার বাড়িতে গিয়ে লুকিয়ে ছিলেন? রাজনীতিতে বাড়ছে জল্পনা
যশোর রোডের ধারে অবহেলায় পড়েছিল নবাব সিরাজউদ্দৌলার কামান, প্রায় চারশো বছরের ইতিহাস খনন শুরু হল ১৫ মার্চ
জামা খুলে অর্ধনগ্ন অবস্থায় মঞ্চে উঠে পড়লেন তরুণী, জুনো অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে শ’য়ে শ’য়ে দর্শকের সামনে অভিনব ‘প্রতিবাদ’