সংক্ষিপ্ত
অয়নের ল্যাপটপ, মোবাইল ঘেটে মিলল একাধিক এজেন্টের নাম ও চাকরি প্রার্থীদের তালিকাও। এখনও পর্যন্ত চারজন এজেন্টের নাম জানা গিয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অয়ন শীলের অফিস থেকে উদ্ধার হল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুরসভায় চাকরির জন্য এজেন্ট মারফত তালিকা আসত অয়নের কাছে। মোট ৬০টি পুরসভায় অন্তত ৫ হাজার চাকরি বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এবার অয়নের ল্যাপটপ, মোবাইল ঘেটে মিলল একাধিক এজেন্টের নাম ও চাকরি প্রার্থীদের তালিকাও। এখনও পর্যন্ত চারজন এজেন্টের নাম জানা গিয়েছে। অয়নের মোবাইলে তপনদা, লালদা, কানুদা, এমডি- এইরকম নাম থেকে তালিকা আসত চাকরিপ্রার্থীদের। ইডি সূত্রে খবর, তপনদা নামের এজেন্টের কাছ থেকে ১৫ জন চাকরিপ্রার্থীর নাম এসেছিল। লালদা পাঠিয়েছিলেন ৬৪ জনের নাম৷ কানুদা একাই ৯৬ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা দিয়েছিলেন এবং এমডি ৪৩ জনের তালিকা পাঠিয়েছিলেন অয়নকে।
অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে এবার উঠে এল নতুন নাম। রবিবার অয়নকে গ্রেফতার করার আগে তাঁর সল্টলেকের অফিসে ৩৭ ঘন্টার ম্যারাথন তল্লাশি চালায় ইডি আধিকারিকরা। সেখানেই ইডির হাতে এসেছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি। এবার অয়ন শীলের সূত্র ধরে সামনে এল আরও এক রহস্যময়ীর নাম। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের শুরু থেকেই বার বার উঠে এসেছে মহিলাদের নাম। পার্থর অর্পিতা, গোপালের হৈমন্তী, কুন্তলের সোমার পর এবার অনয় শীলের সূত্রে মিলল আরও এক মহিলার হদিশ। কিন্তু কে এই রহস্যময়ী?
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে অয়নকে গ্রেফতার করে তাঁর ফোনের হোয়াটস্যাপ চ্যাট ঘেঁটে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডির হানা দেওয়ার আগেই অয়নকে সতর্কবার্তা দিয়েছিল ওই মহিলা। অয়নকে হোয়াটস্যাপে মেসেজ করে বলা হয়েছিল,'পালিয়ে যাও। জিনিসপত্র সরিয়ে দাও। ইডি আসতে পারে।' এই চ্যাট দেখে চোখ কপালে উঠেছে ইডি অফিসারদের। কিন্তু এবিষয় মুখ খোলেননি অয়ন। ইতিমধ্যেই ওই মহিলার খোঁজ শুরু করেছে ইডি। জানা যাচ্ছে মহিলার নাম শ্বেতা চক্রবর্তী। পেশায় মডেল এবং পাশাপাশি রাজ্যের একটি পুরসভায় কর্মরত তিনি। অয়নের অত্যন্ত ঘনিষ্ট বান্ধবী শ্বেতা। তবে অয়নের কাছ থেকে এখনও এবিষয় পরিষ্কার করে কিছু জানা যায়নি। কীভাবেই বা ইডি হানার সতর্কবার্তা অয়নকে দিলেন শ্বেতা সেবিষয়ও ধোঁয়াশা কাটেনি।
তবে এখানেই শেষ নয়। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে শ্বেতার অ্যাকাউন্টে ২৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। অয়নের ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মধ্যে একটি রয়েছে শ্বেতারও। শুধু তাই নয় শ্বেতার নামে রয়েছে একটি হন্ডা সিটি গাড়িও। ইডির সন্দেহ এই বিলাসবহুল গাড়ির টাকা আসে অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে শ্বেতার অ্যাকাউন্টে ট্রেনসফার হওয়া ২৫ লাখ টাকা থেকেই। কিন্তু রহস্য ক্রমে আরও জটিল হচ্ছে, যে মহিলা অয়নকে সতর্ক করেছিল সেই কি শ্বেতা? নাকি এর মাঝেও রয়েছে কোনও তৃতীয় কোন? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়ন ও শ্বেতার আবির্ভাবে কি ঘুরবে তদন্তের মোর?
আরও পড়ুন -
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের মহিলা-যোগের অভিযোগ, হোয়াটস্যাপ মেসেজে অয়নকে সতর্কবার্তা রহস্যময়ীর
সোমবারও দিল্লি যাচ্ছেন না সুকন্যা, দ্বিতীয়াবারের তলব সত্ত্বেও ইডির অফিসে হাজিরা দিলেন না কেষ্ট-কন্যা