সংক্ষিপ্ত
ঘটনার জেরে ভাটপাড়ার ঘোষপাড়া এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁকে ব্যারাকপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মঙ্গলবার মমতা সরকার রাজ্যের জনগণকে এই বনধে অংশ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, সরকার বুধবার কোনও বনধের অনুমতি দেবে না। এতে অংশগ্রহণ না করার জন্য আমরা জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই। স্বাভাবিক জীবন যাতে বিঘ্নিত না হয় তার জন্য সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে। তবে এই বিষয়ো বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া বলেছেন, ‘বন্ধ চলছে। পুলিশ কিছুই করতে পারছে না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কর্মীদের পাঠিয়েছেন। আমরা এখান থেকে সরে যাব না, লড়াই চালিয়ে যাব।"
এদিকে এই বনধ-কে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় বিজেপি টিএমসি সংঘর্ষ। ভাটপাড়ায় চলল গুলির লড়াই। বনধের দিন সকালে ভাটপাড়ায় গোলাগুলি হয়। ঘটনার জেরে ভাটপাড়ার ঘোষপাড়া এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁকে ব্যারাকপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ ও বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। বোমা নিক্ষেপের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, "রবি সিং নামে আমাদের দলের এক কর্মী আহত হয়েছেন৷ রবি আমার বাড়িতে আসছিলেন৷ ঘোষপাড়া মোড়ের কাছে তাঁর গাড়ি থামানো হয়েছিল৷ এর পরে তৃণমূলের আশ্রয়ে থাকা দুষ্কৃতীরা গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়৷
কালিয়াগঞ্জে বিক্ষোভ
কালিয়াগঞ্জ শহরের সুকান্ত মোড় থেকে বিবেকানন্দ মোড় পর্যন্ত বুধবার সকালে মিছিল বের করে বিজেপি সমর্থকরা। বিবেকানন্দ মোড়ে কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে রাখে তারা। তারা আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায়। পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়। তবে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত স্থান ছাড়া কালিয়াগঞ্জ শহরের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুরো শহরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা মোতায়েন করা হয়েছে।