সংক্ষিপ্ত

কলকাতার অদূরে বারাসতে এই ঘটনায় মুখ টিপে হেসেছেন অনেকেই। চৈতালির এই অভিনব পন্থা ইতিমধ্যেই চর্চার বিষয় হইয়ে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে।

নিয়োগ দুর্নীতির আঁচে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। প্রত্যেকদিন উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য। এই আবহে এবার শুভেচ্ছাবার্তায় নিয়োগের সাল উল্লেখ করলেন বারাসতের শিক্ষিকা তথা কাউন্সিলর চৈতালি ভট্টাচার্য। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে শেষে নিজের পেশার পাশে ছোট্টো করে নিয়োগের সাল উল্লেখ করলেন শিক্ষিকা। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির আবহে এই শিক্ষিকার শুভেচ্ছাবার্তা নজর কেড়েছে নেটিজেনদের। সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর অবশ্য জানিয়েছেন 'ভাবমূর্তি স্পষ্ট' করতই এই নিয়োগের সাল উল্লেখ করা। নিজের সম্পর্কে জন সাধারণকে স্পষ্ট ধারণা দিতে চান তিনি। কলকাতার অদূরে বারাসতে এই ঘটনায় মুখ টিপে হেসেছেন অনেকেই। চৈতালির এই অভিনব পন্থা ইতিমধ্যেই চর্চার বিষয় হইয়ে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে।

বারাসত পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চৈতালি ভট্টাচার্য। পেশায় শিক্ষিকা চৈতালি। উচ্চ মাধ্যমিক শুরু হওয়ার আগে ছাত্রছাত্রীদের শুভেচ্ছা জানাতে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন তিনি। সেখান থেকেই যাবতীয় কাণ্ডের সূত্রপাত। ও ফেসবুক পোস্টে চৈতালি লিখেছেন,'উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সকলের পরীক্ষা ভাল হোক এই আশা রাখি।' নীচে লেখা,'কাউন্সিলর চৈতালি ভট্টাচার্য, বারাসত ২৮ নম্বর ওয়ার্ড, শিক্ষিকা (২০০৬ সালে নিয়োগ)।' পোস্টের শেষে এই নিয়োগের সালের উল্লেখ নজর কেড়েছে সকলের। এই সাল উল্লেখের অর্থ স্পষ্টভাবেই বোঝায় যে তিনি এই নিয়োগ নিয়ে 'অস্বচ্ছতা'র এই অভিযোগ ওঠা এই সময়কালে শিক্ষকতার পেশায় নিযুক্ত হননি। বরং তাঁর নিয়োগ তৃণমূল আমলের আগেই। যদিও তিনি জানিয়েছন জনসাধারণের কাছে নিজের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা তুলে ধরতেই এই পোস্ট।

এই প্রসঙ্গে একটি বিশিষ্ট সংবাদ সংস্থাকে চৈতালি জানিয়েছেন,'আমার এলাকার মানুষকে নিজের সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দেওয়ার জন্যই এই পোস্ট করেছি। লোকে যাতে আমায় আরও ভালোভাবে চেনে তার জন্য এই পোস্ট করেছি।' অপরদিকে চৈতালির পোস্ট নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে বাম মহলেও। শিক্ষিকার এই পোস্ট টুইট করে তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করেছেন সুজন চক্রবর্তী। তৃণমূল আমলের কাউন্সিলরকেও স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে বাম আমলের নিয়োগ স্বচ্ছতার আশ্রয় নিতে হচ্ছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি। পাশাপাশি এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে উত্তরও চেয়েছেন তিনি। টুইটে সুজন লিখেছেন,'তৃণমূলের কাউন্সিলর এবং শিক্ষিকা....তিনি যে কারচুপি করে চাকরি পাননি তা প্রমাণ করতে ব্র্যাকেটের মধ্যে লিখছেন যে তিনি বামফ্রন্ট আমলে ২০০৬ সালে চাকরি পেয়েছেন। কী পরিহাস!! তৃণমূলের কাউন্সিলরকেও স্বচ্ছতা স্পষ্ট করতে আশ্রয় নিতে হচ্ছে বাম আমলের নিয়োগ স্বচ্ছতাকেই। মমতার উত্তর কী?'

আরও পড়ুন - 

সোমবার ফের সুকন্যা মণ্ডলকে তলব ইডির, অবশেষে কি ইডির দিল্লি অফিসে হাজিরা দেবেন কেষ্ট-কন্যা?

চোখে চোখে কথা বলো...- এই গানের লাইনই ভার্চুয়াল শুনানিতে সত্যি করে তুললেন 'অপা'

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে পার্থর পরে বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের, কুন্তল-শান্তনুকে বহিষ্কার