সংক্ষিপ্ত

দলীয় স্মৃতি, আনন্দ উদযাপন, দেখাসাক্ষাৎ ফেলে রেখে উত্তর কলকাতার মুরলীধর সেন লেনের অতি পরিচিত দলীয় কার্যালয় ছাড়তে চলেছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। 

এসে গিয়েছে নতুন বছর ২০২৩। যে বছরকে ঘিরে রয়েছে হাজার প্রস্তুতি, পরিকল্পনা এবং কর্মসূচির ভরাট শিডিউল। সেই বছরের শুরুতেই নতুন পার্টি অফিস পেতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। দলীয় স্মৃতি, আনন্দ উদযাপন, দেখাসাক্ষাৎ ফেলে রেখে উত্তর কলকাতার মুরলীধর সেন লেনের অতি পরিচিত দলীয় কার্যালয় ছাড়তে চলেছেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা।

আসতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন। ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা নির্বাচনও। তার আগেই গেরুয়া শিবিরের ঠিকানা বদল হচ্ছে। জানা গেছে, জানুয়ারি মাসেই উত্তর কলকাতা ছেড়ে সল্ট লেকের ব্যস্ততম দ্বীপ সেক্টর ফাইভে উঠে আসতে চলেছে বিজেপির মূল অফিস। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সল্টলেক সেক্টর ফাইভে অবস্থিত বঙ্গ স্বাস্থ্য ভবনের কাছে নতুন অফিস ভাড়া নিচ্ছে বিজেপি।

দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকেই ৬ নং মুরলীধর সেন লেনে অবস্থিত অফিসটির সঙ্গে বিজেপির পরোক্ষ যোগাযোগ। ১৯২৫ সালে এই বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল জনসঙ্ঘ। তারপর তা প্রথমে হয় জনতা পার্টির এবং তারপর এটি পায় ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে এটি প্রথম থেকেই স্থায়ী কার্যালয় ছিল না। শুরু থেকেই কার্যালয়টি ভাড়া নিয়ে রাজনৈতিক কাজ সম্পন্ন করত বঙ্গ বিজেপি। এই কার্যালয় থেকেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে পদ্মশিবির। বহু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদেরও আসতে দেখা গেছে এই অফিসেই। সম্প্রতিই পা পড়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। কিন্তু, সেই স্মৃতিবিজড়িত কার্যালয়কেই বিদায় জানাচ্ছে দল। সূত্রের খবর, ১৫ জানুয়ারির পরই স্বাস্থ্য ভবনের পাশে ভাড়া নেওয়া অফিসটিতে বিজেপির কার্যালয় স্থানান্তরিত হতে পারে।

গত কয়েক বছর ধরেই বিজেপির কেন্দ্রীয় দল বাংলায় একটি স্থায়ী ঠিকানার পরিকল্পনা করছিল। এর পাশাপাশি, জেলায় জেলায় স্থায়ী পার্টি অফিস তৈরিরও পরিকল্পনা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জায়গায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করাও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, প্রধান কার্যালয়টির জন্য স্থায়ী ঠিকানা পেতে বিলম্ব হবে বলে আপাতত সল্ট লেকে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তর করা হচ্ছে এই কার্যালয়। দলের খবর অনুযায়ী, যাতায়াতের দিক থেকে ৬ নম্বর মুরলীধর সেনের কার্যালয়টি সুবিধাজনক হলেও দলীয় পরিধি বেড়ে যাওয়ার দরুন আয়তনে এই অফিসটি ছোটো হয়ে পড়ছিল। শীর্ষ নেতারা এও মনে করেছিলেন যে, এই মুরলীধর সেন লেনের গলির মধ্যেই বিজেপির আন্দোলন সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে। তাই আপাতত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই ঠিকানা বদল করছে বিজেপি।