সংক্ষিপ্ত

ধর্মঘটের (Strike) পথে আলু ব্যবসায়ীরা। ফলে, রবিবার থেকে গোটা রাজ্যজুড়ে টান পড়তে পারে আলুর জোগানে।

ধর্মঘটের (Strike) পথে আলু ব্যবসায়ীরা। ফলে, রবিবার থেকে গোটা রাজ্যজুড়ে টান পড়তে পারে আলুর জোগানে।

অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তারা। আলু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আলুর দাম কমাতে ক্রমাগত সরকারি চাপ আসছে। একেবারে জেরবার হয়ে যাচ্ছেন তারা।

এমনকি, ভিনরাজ্যের রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। এইসবকিছুর প্রতিবাদেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিল পশ্চিমবঙ্গের আলু ব্যবসায়ী সমিতি।

উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আলুর দাম বিশাল। রাজ্য সরকারের একাধিক নির্দেশিকা জারি, কড়া পদক্ষেপের পরেও পরিস্থিতির খুব একটা বদল হয়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সাফ নির্দেশ ছিল, রাজ্যের চাহিদা পূরণ এবং দাম নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত ভিনরাজ্যে আলু রপ্তানি করা চলবে না। যা নিয়ে ঘোর আপত্তি রয়েছে আলু ব্যবসায়ীদের।

শনিবার, বাঁকুড়ার জয়পুরের এক বেসরকারি হোটেলে একটি বৈঠকে বসেন আলু ব্যবসায়ীরা। সেখানেই অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিদ্যুৎবরণ প্রতিহার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার আলু রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে, ব্যাবসায় অনেক ক্ষতি হচ্ছে।

তাঁর দাবি, হিমঘরের সামনে প্রতি কুইন্টাল আলু বিক্রি হচ্ছে ২৩০০ টাকায়। সেই হিসেবে এক কেজি আলুর দাম হয় ২৩ টাকা। অথচ খোলা বাজারে আলু বিকোচ্ছে প্রায় ৩৫ টাকা কেজি দরে। হিমঘর থেকে বেরনোর পর বাজারে আচমকা আলুর দাম কীভাবে বেড়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ বলে দাবি করেছেন আলু ব্যবসায়ীরা।

বিদ্যুৎবরণ প্রতিহার আরও বলেন, এবার আলু চাষের মরশুমে বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে, প্রথম দফার ফলন অনেকটা নষ্ট হয়ে যায়। দ্বিতীয়বার চাষের সময় ফলন আবার অনেকটা কমও হয়েছে। ফলে জোগানে ঘাটতি রয়েছে। তারই মধ্যে আবার ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট ঘোষণা করায় জোগানে আরও টান পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।