Birbhum News: উৎসবের মরশুম শেষ হতেই বিজয়া দশমীতে অন্য মুডে দেখা গেল অনুব্রত মণ্ডলকে। কী করলেন তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতা? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Birbhum News: দুর্গোৎসব মানেই আনন্দ, মিলন আর মিষ্টিমুখ। সেই আনন্দকে আরও এক ধাপ বাড়িয়ে তুললেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। দুর্গা বিসর্জনের দশমী দিন বোলপুরের নিচ্চুপটি এলাকার সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরে বসেছিল বিজয়া কেন্দ্র। সেখানে হাজির হয়ে একেবারে সহজ-সরল ভঙ্গিতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গেলেন তিনি।
প্রথা মেনে বিজয়ার মুহূর্তে এলাকার বাসিন্দাদের হাতে-হাতে রসগোল্লা বিতরণ করলেন কেষ্ট। হাঁড়ি ভর্তি রসগোল্লা নিজে হাতে তুলে দিচ্ছিলেন পাড়ার ছেলে-বুড়ো সকলকে। পাশে দাঁড়িয়ে ছোটরা তো রীতিমতো উচ্ছ্বসিত, হাতে রসগোল্লা পেয়ে বিজয়ার আনন্দ যেন আরও বেড়ে গেল।
অনুব্রত মণ্ডলের বিজয়া দশমী:-
এদিনের পরিবেশ ছিল খোল-করতাল আর ঢাকের আওয়াজে মুখরিত। মহিলাদের ঠাকুর প্রণাম, পুরুষদের কোলাকুলি—সব মিলিয়ে যেন পাড়ায় পাড়ায় মিলনমেলার আবহ। বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি কেষ্টও হাসিমুখে সকলকে আশীর্বাদ ও শুভেচ্ছা জানান।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “প্রতিবারের মতো এবারও কেষ্টদা নিজে এসে আমাদের হাতে রসগোল্লা দিলেন। এটাই আমাদের পুজোর আসল আনন্দ। নেতা হয়েও তিনি আমাদের মতোই একজন মানুষ।”
একজন প্রবীণ বলেন, “দশমীতে মিষ্টিমুখ ছাড়া তো বিজয়া পূর্ণ হয় না। কেষ্টদা নিজে এভাবে পাশে দাঁড়ান, এতে আলাদা আনন্দ পাই।” শুভ বিজয়ার এই প্রথাকে কেন্দ্র করে এদিন বোলপুরের নিচ্চুপটি এলাকায় ভিড় জমেছিল স্থানীয় মানুষ থেকে দূরদূরান্তের দর্শনার্থীদের। বিজয়া মিলনমেলায় যেন একাত্ম হয়ে গেল গোটা পাড়া।
অন্যদিকে, উৎসব শেষ। বিসর্জন পর্বও মোটামুটি শেষের দিকে। কিন্তু এখনও পুরোপুরি সমাপ্তি টানা যাবে না। কারণ গর্বের দুর্গাপুজোর কার্নিভাল এখনও বাকি রয়েছে। রবিবার, ৫ অক্টোবর পুজো কার্নিভাল রেডরোডে। আর সেই কার্নিভালে একসঙ্গে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলির সেরা প্রতিমা দেখতে ভিড় জমান অনেকেই। সেই কারণে জোরদার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে কলকাতায়।
কলকাতার সব নামীদামি পুজোগুলি রেড রোডের কার্নিভালে অংশ নেয়। তারপর বিসর্জন হয় বাবুঘাটে। গত কয়েক বছর ধরে এমনটাই চলে এসেছে। এবারই তার ব্যতিক্রম হবে না আর ভিড় সামলাতে এবারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে কলকাতা মেট্রো। তেমনই জানিয়েছে মেট্রো রেল কর্তপক্ষ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


