Birbhum TMC News: বীরভূমে তৃণমূল নেতাকে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুনের অভিযোগ। ভাঙড়ের পর বীরভূমের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Birbhum News: বীরভূমে ফের শুট আউট। পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থল বীরভূমের লাভপুর বিধানসভার শ্রীনিধিপুর গ্রাম। শনিবার রাত সাড়ে দশটা থেকে এগারোটা নাগাদ বাড়ি থেকে ডেকে গ্রামের মোড়ের মাথায় গুলি করে খুন করা হয়। তদন্তে সাঁইথিয়া থানার পুলিশ।

বীরভূমের সাঁইথিয়া পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূলের লাভপুর বিধানসভার শ্রীনিধিপুর অঞ্চলের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি পীযূষ ঘোষ। বাড়ি শ্রীনিধিপুর অঞ্চলের কোমরপুর গ্রামে। শনিবার রাত সাড়ে দশটা থেকে ১১ টা নাগাদ বাড়ির ঢোকেন। তারপর ওই তৃণমূল নেতাকে ফোন করে ডাকা হয় গ্রামের মোড়ে। কোমরপুর গ্রামের মোড়েই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় তৃণমূল নেতাকে। খবর যায় পুলিশে। সাঁইথিয়া থানা ও আমোদপুর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলকে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে।

এই মুহূর্তে পীযূষ ঘোষ নিহত তৃণমূল নেতার মৃতদেহ রয়েছে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। সেখানেই লাভপুর ও সাঁইথিয়া এলাকার তৃণমূল নেতারা রয়েছেন। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ঢুকছেন লাভপুর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ। এলাকায় বিরাট চাঞ্চল্য। তৃণমূল নেতা পীযূষ ঘোষকে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। নেপথ্যে কারণ কি ? তদন্তে পুলিশ।

অন্যদিকে, ভাঙরে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় প্রথম গ্রেফতারি কলকাতা পুলিশের। ভাঙড় থানা এলাকা থেকেই রবিবার ভোরে মোফাজ্জল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ । পুলিশ সূত্রে জানা খবর, রাজনৈতিক রেষারেষি জেরেই ঘটনার সূত্রপাত। রাজ্জাক খাঁ ওই এলাকায় বেশি প্রাধান্য পাওয়ায় তার ওপর ক্ষোভ ছিল তৃণমূল কর্মী মোফাজ্জলের। সেখান থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে মোফাজ্জল তেমনটাই সূত্রের খবর।

জানা গিয়েছে, গত ১০ জুলাই ভাঙড়ে খুন হন তৃণমূল নেতা রাজ্জাক খান। অভিযোগ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি রাজ্জাক খানকে খুনের অভিযোগ ওঠে দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত দশটার দিকে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় তৃণমূল নেতা রজ্জাক। ঘটনাস্থল থেকে জখম নেতাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। তৃণমূল অভিযোগের আঙুল তুলেছে আইএসএফ-এর দিকে। যেহেতু ভাঙড় এলাকা কলকাতা পুলিশের অধীনে তাই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন নগরপাল মনোজ বর্মা। বাজার থেকে মারিচের বাড়িতে ফেরার পথে খালের কাছে রাজ্জাক খানের উপর হামলা হয়।

হামলাকারীরা প্রথমে রাজ্জাককে গুলি করে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। গুলিবিদ্ধ এবং আক্রমণে গুরুতর আহত হয়ে তিনি মারা যান। ঘটনাস্থলেই রাজ্জাকের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাটি ঘিরে ফেলে। ঘটনাস্থল থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান। ঘটনা জানাজানি হলে ক্যানিংয়ের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা ঘটনাস্থলে যান। নিহত রাজ্জাক খান শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে সূত্রের খবর।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।