সংক্ষিপ্ত

দিকে দিকে গজিয়ে উঠছে বিরিয়ানির দোকান। কিন্তু একি! তাই বলে বিরিয়ানিতে পচা মাংস? সেইসঙ্গে, নিষিদ্ধ রাসায়নিকের ব্যবহার।

দিকে দিকে গজিয়ে উঠছে বিরিয়ানির দোকান। কিন্তু একি! তাই বলে বিরিয়ানিতে পচা মাংস? সেইসঙ্গে, নিষিদ্ধ রাসায়নিকের ব্যবহার।

একাধিক অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালায় পুরসভা। আর তারপরই বন্ধ করে দেওয়া হল অনেকগুলি বিরিয়ানির দোকান। সোমবার, কোচবিহারের দিনহাটায় অভিযান চালিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল একাধিক বিরিয়ানির দোকান।

পুরসভা এবং স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফ থেকে যৌথ অভিযান চালিয়ে একাধিক বিরিয়ানির দোকান বন্ধ করে দেওয়া হল। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল। কারণ, দিনহাটার অলিতে গলিতে এবং দিকে দিকে দিনের পর দিন গজিয়ে উঠছে বিরিয়ানির দোকান। এমনকি তাদের ট্রেড লাইসেন্স এবং ব্যবসার অনুমতি নিয়েও বারবার প্রশ্ন উঠছিল।

শুধু তাই নয়, খাবারের গুণগত মান নিয়েও একাধিক অভিযোগ উঠে আসছিল পুরসভার কাছে। পাহাড়প্রমাণ অভিযোগ পেয়েই এদিন অভিযান চালান দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরীশঙ্কর মাহেশ্বরী, দিনহাটা হাসপাতালের সুপার রঞ্জিত মণ্ডল সহ অন্যান্য কাউন্সিলর এবং আধিকারিকরা।

আর এই অভিযানেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা দেখে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ পুরকর্তাদের।

দেখা যাচ্ছে, কোনও কোনও দোকানে ব্যবহার করা হচ্ছে দুর্গন্ধযুক্ত পচা মাংস। আবার কোথাও ব্যবহৃত হচ্ছে এক ধরণের অস্বাস্থ্যকর এবং নিষিদ্ধ রাসায়নিক রং। শুধু কি তাই? চূড়ান্ত অস্বাস্থ্যকর জায়গায় তৈরি হচ্ছে সেই বিরিয়ানি। যা দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ পুর এবং স্বাস্থ্যকর্তারা। তারা সঙ্গে সঙ্গে সেই সমস্ত দোকান বন্ধ করার নির্দেশ দেন।

পাশাপাশি, দোকান মালিকদের ট্রেড এবং ফুড লাইন্সেস নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে পুরসভায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তারা। এই অভিযান নিয়ে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন উদয়ন গুহ। মাংসের ছবি দিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী লিখেছেন, “এইসব মাংস দিয়েই দিনহাটায় বিরিয়ানি তৈরি হয়। অবিলম্বে বিরিয়ানির সব দোকান বন্ধ করে দেওয়া হোক।”

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।