সাম্প্রতিক বন্যায় এলাকার মানুষ একেবারে সর্বশান্ত। ঘরবাড়ি জলমগ্ন, ফসল নষ্ট, বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছে ত্রাণ শিবিরে। দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আক্রান্ত হলে বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও সাংসদ খগেন মুর্মু।  

প্রবল বৃষ্টি আর ভূমিধসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। বিপর্যস্তদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বিজেপির দুই জনপ্রতিনিধি। একজন সাংসদ। অন্যজন বিধায়ক। বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর মাথা ফাটল নদীর পাথরে। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে হতে হল হেনস্থা।

বন্যা দুর্গতদের পাশে বিজেপি জনপ্রতিনিধি

ডুয়ার্সের নাগরাকাটা। সাম্প্রতিক বন্যায় এলাকার মানুষ একেবারে সর্বশান্ত। ঘরবাড়ি জলমগ্ন, ফসল নষ্ট, বহু মানুষ ,সব হারিয়ে আশ্রয় নিয়েছে ত্রাণ শিবিরে। ঠিক এমন পরিস্থিতিতেই বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে যান বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মূর্মূ। উদ্দেশ্য ছিল বানভাসি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা সরেজমিনে দেখা এবং তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেওয়া।

আক্রান্ত বিজেপি জনপ্রতিনিধি

কিন্তু ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিধায়ক ও সাংসদের গাড়ি নাগরাকাটার ভেতর প্রবেশ করার সময় হঠাৎ একদল উত্তেজিত লোক তাঁদের ঘিরে ধরে। অভিযোগ উঠেছে, ওইসময় ইট-পাথরের বৃষ্টি শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যেই ভাঙচুর চালানো হয় শংকর ঘোষের গাড়িতে। গাড়ির জানলার কাঁচ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে। অভিযোগ বিক্ষোভকারীরা বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর মাথা নদীর পাথর ছুঁড়়ে ফাটিয়ে দেয়। রক্তাক্ত অবস্থাতেই তাঁকে গাড়িতে তুলে দেয় তার নিরাপত্তারক্ষীরা। শঙ্কর ঘোষকেও হেনস্থা করে বিক্ষোভকারীরা।

বিজেপির অভিযোগ

বিজেপির পক্ষ থেকে সরাসরি অভিযোগ করা হয়েছে, এই হামলার পেছনে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। তাঁদের মতে, বন্যা দুর্গতদের সমস্যার কথা জনসমক্ষে তুলে ধরা হোক সেটা তৃণমূল চায়নি। তাই পরিকল্পিতভাবেই এই আক্রমণ। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাঁদের বক্তব্য, সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে জানান হয়েছে তারা এই ঘটনায় নিয়ে স্থানীয় থানায় এফআইআর করবে। তারই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের কথায় স্থানীয় জনতাই উত্তেজিত হয়ে হামলা চালিয়েছে।