সংক্ষিপ্ত
অখিল গিরি ক্ষমা চাইলেও তাতে বিন্দুমাত্র গলেনি বিজেপি। উল্টে রাজধানীতে বিধায়কের নামে অভিযোগ জানিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অনুরোধ, অবিলম্বে যেন এফআইআর দায়ের করে অখিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্যের জেরে ঘরে বাইরে আরও বাড়ছে চাপ। পাশে নেই দলও। ইতিমধ্যেই বিবৃতির মাধ্যমে তা স্পষ্ট করেছে তৃণমূল। এবার বিধায়কের বিরুদ্ধে দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের করলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। রবিবার সকালেই দিল্লির নর্থ অ্যাভিনিউ থানায় রাজ্যের কারামন্ত্রীর সম্পর্কে অভিযোগ দায়ের করলেন লকেট। অখিল গিরি ক্ষমা চাইলেও তাতে বিন্দুমাত্র গলেনি বিজেপি। উল্টে রাজধানীতে বিধায়কের নামে অভিযোগ জানিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অনুরোধ, অবিলম্বে যেন এফআইআর দায়ের করে অখিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
থানা থেকে বেরিয়ে লকেট জানান নন্দীগ্রামের ওই সভায় অখিলের পাশেই ছিলেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি বলেন, '‘দেশের রাষ্ট্রপতিকে অখিল গিরি যেভাবে অপমান করেছেন তাঁর নিন্দা জানানোর ভাষা নেই।' তিনি আরও বলেন, এটা শুধু রাষ্ট্রপতির নয় পুরো আদিবাসী সমাজ এবং মহিলাদের অপমান করেছেন তিনি।' মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে লকেট জানান, 'একজন মহিলা হয়েও মহিলাদের এই অপমানে কোনও স্টেটমেন্ট নেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।'
নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান মঞ্চ থেকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্যের জেরে ঘরে বাইরে চাপে তৃণমূল বিধায়ক। বিরোধী দলের পাশাপাশি নিন্দায় সরব হয়েছে খোদ তৃণমূলের একাংশ। শনিবার বিধায়কের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে তৃণমূলের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইট করা হয়েছে। টুইটে বলা হয়েছে, 'ভারতের মাননীয় রাষ্ট্রপতি, শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মু আমাদের পরম শ্রদ্ধেয়। আমাদের দলের বিধায়ক অখিল গিরির দুর্ভাগ্যজনক মন্তব্যের তৃণমূল কংগ্রেস তীব্র নিন্দা করছে এবং এই ধরণের আচরণ কোনওভাবেই মার্জনীয় নয়। নারীর ক্ষমতায়নের যুগে এ ধরনের দুর্ব্যবহার একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূল বধায়ক অখিল গিরি রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে বলেছিলেন,'বলে দেখতে ভাল নয়, কী রুপসী! কী দেখতে ভাল! আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা?' এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যরাজনীতিতে। গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে বিধায়কের সাফাই শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে বারবার নিশানা করেছিল। বলেছিল, কাকের মত দেখতে। হাফমন্ত্রী- এজাতীয় মন্তব্যের জেরে মেজাজ হারিয়ে তিনি এই কথা বলেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি নিজে সংবিধানের লোক। রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে তিনি সম্মান করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অসম্মান করতে চাননি বলেও দাবি করেছেন। বলেছেন রাগের বশে মুখ ফসকে এজাতীয় মন্তব্য বেরিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন -
'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে বাংলাভাগ হবে না', আবারও আশ্বস্ত করলেন তৃণমূল নেতা
বাংলা ভাগের প্রতিবাদে পথে নামল বাংলা পক্ষ, দশ দফা দাবি নিয়ে বিশাল মিছিল জলপাইগুড়িতে