West Bengal IOC Plant: গ্যাসের সিলিন্ডার সরবরাহ নিয়ে জটিলতায় রাতভর ধুন্ধুমার কাণ্ড আইওসি প্লান্টে। তারপর কী হল? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
বজবজ: রাতভর অশান্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের আইওসি বটলিং প্ল্যান্ট। গত কয়েকদিন ধরেই অচলাবস্থা শুরু হয়েছে এই প্ল্যান্টে। অভিযোগ, বকেয়া টাকা না পাওয়ায় বজবজে আইওসি প্লান্টে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড। বেশ কয়েকটি দাবি সামনে রেখে মঙ্গলবার রাত থেকে আন্দোলনে নেমেছেন এই প্লান্টের কর্মীরা। এমনিতেই গত দুদিন ধরে বন্ধ লোডিং ও আনলোডিংয়ের কাজ। গ্যাস সরবরাহের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন খালাসি ও গাড়িচালকরা। মঙ্গলবারের পর বুধবারও জারি অচলাবস্থা।
সূত্রের খবর, বজবজের এই আইওসি প্লান্টে গ্যাস সরবরাহের কাজে যুক্ত প্রায় ২০০-রও বেশি লরি। প্রতিদিনই শহর ও শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় যায় এই গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি লরিগুলি। জানা গিয়েছে, এই সমস্ত গাড়িচালক ও খালাসিদের সংগঠন রয়েছে। যা তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত। এর আগে আট-নয় মাস আগে বকেয়া টাকার দাবিতে আরও একবার ধর্মঘট করেছিলেন তাঁরা। সেই সময় বকেয়া প্রাপ্য টাকা না পাওয়া নিয়ে ইউনিয়নের সম্পাদককে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। যদিও শেষ পর্যন্ত তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে ওই সম্পাদককে সরিয়ে বিষয়টি স্বাভাবিক করা হয়।
এদিকে এখন সদস্যদের অনেকেই চাইছেন, বয়স্ক চালকদের দূরের জায়গার বদলে কাছাকাছি গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হোক। আবার অন্য একটি অংশ চাইছে সবার জন্যই চালু হোক একই নিয়ম। আর তাতেই বাঁধে গণ্ডগোল। শ্রমিকরা গ্যাস সিলিন্ডার কাঁধে করে গ্যাস ছেড়ে দিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে এলাকায়। রীতিমত চতুর্দিকে গ্যাসের সাদা ধোঁয়ায় অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থায় চলে আসে। এরপর ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকার মানুষজনও সেখানে উপস্থিত হয়। পুলিশ সুপার রাহুল গোস্বামী বিক্ষোভ কারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা হয়। রাতেই পুলিশের ব্যাপক অভিযান গ্রেফতার হয়য় একাধিক। এখনও চলছে দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি।
এদিকে ঘটনার কথা স্বীকার করে আইওসি প্লান্টের সম্পাদক কানাইলাল দাস বলেন, ''সবার সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি বুধবারের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।'' মঙ্গলবার রাতের হামলা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ''এই হামলার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ যুক্ত নয়। প্লান্টের অপর এক গোষ্ঠী এই কাজ করেছে।'' অন্যদিকে, ডিস্ট্রিবিউটারদের দাবি, গ্যাস বুকিংয়ের একদিনের মধ্যেই তারা এখন বাড়ি-বাড়ি সিলিন্ডার ডেলিভারি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এই অবস্থায় সোমবার থেকে অচলাবস্থায় কাজ পুরোপুরি বন্ধ। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই সমস্যা মেটাবে বলে আশাবাদী তারা। তবে এখন দেখার ঠিক কতদিনে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়!
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


