- Home
- West Bengal
- West Bengal News
- বিজেপি কর্মীর রহস্য মৃত্যুতে সিবিআই-কে তুলোধনা, কল রেকর্ডিং নিয়ে কড়া নির্দেশ আদালতের
বিজেপি কর্মীর রহস্য মৃত্যুতে সিবিআই-কে তুলোধনা, কল রেকর্ডিং নিয়ে কড়া নির্দেশ আদালতের
Calcutta HC On Khejuri Case: খেজুরিতে দুই বিজেপি কর্মীর রহস্য মৃত্যুতে ফোন কল রেকর্ডিং খতিয়ে দেখা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি।

বিজেপি কর্মীর রহস্য মৃত্যুতে আদালতের নির্দেশ
এবার খেজুরিতে দুই বিজেপি কর্মীর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক, তদন্তকারী পুলিশ অফিসার এবং ওসি সহ অভিযুক্ত বাকি ১৭ জনের ফোন কল রেকর্ডিং খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলো কলকাতা হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ১৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।
খুনের অভিযোগে দায়ের হয় মামলা
সূত্রের খবর, গত ১১ জুলাই মহরম উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল খেজুরি থানার ভাঙনমারি গ্রামে। পরের দিন অর্থাৎ গত ১২ জুলাই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় বছর তেইশের সুজিত দাস ও পঞ্চাশোর্ধ্ব সুধীরচন্দ্র পাইকের। অনুষ্ঠানের জায়গার কিছুটা দূর থেকেই উদ্ধার হয় দু'জনের দেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ দাবি করে, অনুষ্ঠান চলাকালীন অসাবধানতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় দু'জনের। যদিও, মৃতের পরিবার খুনের অভিযোগ তোলে। নিহত সুধীরচন্দ্র পাইকের ছেলে নন্দনকুমার পাইকও তাঁর বাবাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে দায়ের হয় মামলা।
ময়নাতদন্তের দ্বিতীয় রিপোর্ট নিয়ে অসন্তোষ
জানা গিয়েছে, ২ বিজেপি কর্মী সুজিত দাস এবং সুধীর পাইকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে আগেই জমা পড়েছিল ময়নাতদন্তের দ্বিতীয় রিপোর্ট। ময়নাতদন্তের প্রথম রিপোর্টে উল্লেখ ছিল যে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ বিজেপি কর্মীর। কিন্তু দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে দেহে আঘাতের কথা। রিপোর্ট দেখে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
পুলিশের তদন্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন
বুধবার ওই মামলার শুনানিতেই অভিযুক্ত ১৭ জনের কল রেকর্ড দেখতে চান বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, এই মামলায় সিবিআই তদন্ত হবে কিনা, তা মূল মামলায় ঠিক করবে আদালত। এদিনও শুনানিতে পুলিশের তদন্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুললেন দুই বিচারপতি। বিচারপতি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, ''দ্বিতীয় ময়না তদন্তের রিপোর্টে কী করে মৃতদের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন এল? একটা মেলার মধ্যে এত বড় ঘটনা ঘটল অথচ কোনও প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান পাওয়া গেল না? তাহলে সাক্ষীরা নিশ্চয়ই ভয় পাচ্ছেন। আগে তাদের ভয় দূর করুন। এই মামলায় কেস ডায়েরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপর থেকে পড়ে গিয়ে এইরকম মৃত্যু হতে পারে না। কারণ দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরিষ্কার উঠে এসেছে মৃতদেহ গুলির দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।''
সিবিআইয়ে অনাস্থা আদালতের
এরপরই বিচারপতি দেবাংশু বসাক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে বলেন, ‘’দুটো ময়না তদন্তের রিপোর্ট ভিন্ন হলে মানুষের সিস্টেমের উপর থেকে বিশ্বাসই উঠে যাবে।' তারপরই তিনি পুলিশকে নির্দেশ দেন, ‘চিকিৎসক, তদন্তকারী অফিসার, পুলিশ সহ অভিযুক্ত ১৭ জনের সমস্ত মোবাইল ফোনের সমস্ত কল রেকর্ড খতিয়ে দেখুন। জি ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করুন।'’ গত ২৬ অগাস্ট এই ঘটনার মূল মামলার শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি আর সিবিআই-এর উপর আস্থা রাখতে পারছেন না। সিবিআই এখন গ্যালারি শো করছে' বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

